ঢাকা , সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আঘাত ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ফারদিনের মৃত্যু: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
  • 18

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের আঘাতজনিত কারণ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহের প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারদিনের মাথায় ও বুকের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও আঘাতজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শেখ ফরহাদ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুয়েট ছাত্র ফারদিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার বুকের দুপাশে দুই-তিনটি ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। পাশাপাশি তার মাথায় চার-পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন ছিল।’

তিনি বলেন, ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে। চূড়ান্ত ভিসেরা রিপোর্ট হাতে আসলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।’

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশ নিখোঁজ হন। ৫ নভেম্বর এ ঘটনায় তার বাবা নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে ফারদিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৯ নভেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ফারদিনের বন্ধু বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন।

বিজনেস আওয়ার/১৭ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আঘাত ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ফারদিনের মৃত্যু: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের আঘাতজনিত কারণ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহের প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারদিনের মাথায় ও বুকের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও আঘাতজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শেখ ফরহাদ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুয়েট ছাত্র ফারদিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার বুকের দুপাশে দুই-তিনটি ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। পাশাপাশি তার মাথায় চার-পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন ছিল।’

তিনি বলেন, ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে। চূড়ান্ত ভিসেরা রিপোর্ট হাতে আসলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।’

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশ নিখোঁজ হন। ৫ নভেম্বর এ ঘটনায় তার বাবা নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে ফারদিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৯ নভেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ফারদিনের বন্ধু বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন।

বিজনেস আওয়ার/১৭ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: