আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লিতে প্রেমিকাকে হত্যার পর মরদেহ ৩৫ টুকরো করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই। এবার প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আরেকটি ঘটনা।
প্রেমের সম্পর্ক ছিল দুই বছর আগে। এর মধ্যেই বিদেশে চলে যায় প্রেমিক, অন্য একজনকে বিয়ে করেন প্রেমিকা। কিন্তু এই বিয়ের খবর শুনেই ওই ব্যক্তি দেশে এসে সাবেক প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে ফেলে দেয়।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সাবেক প্রেমিকা আরাধনা প্রজাপতিকে হত্যার দায়ে এরই মধ্যে প্রিন্স যাদব নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সে উত্তর প্রদেশের আজমগড় এলাকার বাসিন্দা। শনিবার (১৯ নভেম্বর) তাকে আটক করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী নারীর খণ্ডিত মাথা খুঁজে বের করতে রোববার (২০ নভেম্বর) প্রিন্স যাদবকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলে, সে পুলিশি হেফাজত থেকেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা একটি বন্দুক ব্যবহার করে সে পালানোর চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর তাকে আবারও আটক করা হয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, গত ১৫ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের আজমগড় গ্রামের একটি কূপের ভেতর থেকে ওই নারীর শরীরের খণ্ডবিখণ্ড অংশ উদ্ধার হওয়ার পর প্রকাশ্যে আসে আরাধনা প্রজাপতি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। অনুরাগ আর্য নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, মরদেহটি অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রিন্স যাদবের সঙ্গে বের হওয়ার এক সপ্তাহ পরও বাড়ি না ফেরায়, আরাধনার পরিবার তার নিখোঁজ থাকার কথা পুলিশকে জানিয়েছিল।
তদন্তে জানা গেছে, দুই বছর আগে প্রিন্স যাদবের সঙ্গে আরাধনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে অন্য একজনকে বিয়ে করায় সাবেক প্রেমিকা আরাধনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল প্রিন্স।
পুলিশ জানায়, আরাধনার বিয়ের সময় প্রিন্স বিদেশে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিয়ের খবর জানতে পেরে সে দেশে ফিরে এসে আরাধনাকে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য চাপ দেয়া শুরু করে। তাতে রাজি না হওয়ায় হত্যার পর প্রিন্স আরাধনার মরদেহ এমনভাবে গুম করে ফেরতে চেয়েছিল, যেন কখনো ধরা পড়ার সুযোগ না থাকে। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে প্রিন্স যাদবকে তার বাবা, মা, চাচাতো ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা সহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রিন্স যাদবকে সহযোগিতাকারী অভিযুক্ত সাতজন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিজনেস আওয়ার/২১ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ