আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির পালাম এলাকায় একই পরিবারের ৪ সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফেরা এক মাদকাসক্ত তরুণ।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) নয়াদিল্লির পুলিশ জানায়, কেশব (২৫) নামের ওই তরুণ তার বাবা-মা, বোন এবং দাদিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাজধানী নয়াদিল্লিতে যখন ভয়াবহ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, তখন মাদকাসক্ত ওই তরুণের বিরুদ্ধে পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির পালামে নিজেদের বাড়ি থেকে ওই চারজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর কেশবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের হত্যার সময় ধারালো কোনও বস্তু দিয়ে গলা কেটেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন, কেশবের দাদি দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দীনেশ (৫০), মা দর্শনা ও ১৮ বছর বয়সী বোন উর্বশী। কেশবের বাবা-মায়ের মরদেহ বাথরুম এবং দাদি ও বোনের মরদেহ ভিন্ন ভিন্ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, এক মাস আগে গুরুগাঁওয়ের এক সংস্থা থেকে চাকরি ছেড়েছিলেন কেশব। দিওয়ালির সময় থেকেই বেকার ছিলেন তিনি। পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার সময় তার মাঝে মাদকের প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই ভবনের অন্য বাসিন্দারা কেশবদের বাসা থেকে চিৎকার শুনতে পান। পরে তারাই এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কাছে ফোন করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর কেশব বাড়িতেই ছিলেন এবং পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু স্বজনরা তাকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
সূত্র: এনডিটিভি।
বিজনেস আওয়ার/২৩ নভেম্বর, ২০২২/কমা