1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
আরো দুই পণ্য জিআইয়ের স্বীকৃতি পাচ্ছে
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন

আরো দুই পণ্য জিআইয়ের স্বীকৃতি পাচ্ছে

  • পোস্ট হয়েছে : শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশের শীতলপাটি ও বগুড়ার দই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) উপ-নিবন্ধক আলেয়া খাতুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বগুড়ার দই ও শীতলপাটির জন্য যে আবেদন করা হয়েছিলো, তা যাচাই–বাছাই চলছে। প্রক্রিয়াটি শেষ পর্যায়ে আছে। কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এরপর গেজেট প্রকাশ করা হবে।

শীতলপাটি:
শীতলপাটিকে বাংলাদেশের বিশেষায়িত পণ্য হিসেবে বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে ২০২১ সালে ডিপিডিটির কাছে জিআই সনদের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। বর্তমানে সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতলপাটি তৈরি করা হয়। শীতলপাটির বিশেষত্ব হলো, এটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি এবং ব্যবহারে একধরনের আরামদায়ক শীতল অনুভূতি পাওয়া যায়। একটি পাটি তৈরিতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। দাম শুরু হয় ৫০০ টাকা থেকে, যা নকশাভেদে ৬ হাজার টাকার বেশি হয়। এছাড়া শীতলপাটি দিয়ে ফুলদানি, শোপিস, খেলনা, জায়নামাজ, ফাইল ফোল্ডার, কলমদানি, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, ছবি ও আয়নার ফ্রেম, ওয়ালমেট, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বানানো হয়।

এছাড়া মসলিনের মতো বহু আগে থেকেই দেশে–বিদেশে বাংলাদেশের শীতলপাটির কদর রয়েছে। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের শীতলপাটি জায়গা করে নিয়েছিল মোগল রাজদরবার ও ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়ার রাজসভায়। পণ্যটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৭ সালে শীতলপাটির বুননশিল্পকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।

বগুড়ার দই:
বগুড়ার বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য করতে আনুষ্ঠানিকভাবে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে (ডিপিডিটি) আবেদন করে। কয়েক দফায় যাচাই–বাছাই শেষে সেটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় দেড়শ বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার নীলকণ্ঠ ঘোষের হাত ধরে বগুড়ার দইয়ের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বগুড়ার দুই শতাধিক দোকানে দই বানানো হয়। এসব কারখানায় সরাসরি কাজ করেন প্রায় সাত হাজার মানুষ। এছাড়া দুধ উৎপাদন, দইয়ের পাত্র (মাটির), মোড়ক ও বাঁশের কাঠামো তৈরির মতো খাতে আরও ১০ হাজার মানুষ জড়িত। বগুড়ার দই ১৫০–২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

এখন পর্যন্ত দেশের ১১টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি। এরপর ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, বিজয়পুরের সাদামাটি, কালিজিরা, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি জিআই স্বীকৃতি পায়।

বিজনেস আওয়ার/২৫ নভেম্বর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ