আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সংবেদনশীল সরকারি ভবনগুলোতে চীনে তৈরি নজরদারি ক্যামেরা বসানো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয়া হয়।
পার্লামেন্টে লিখিত এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট অফিস মিনিস্টার অলিভার ডাউডেন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিজ্যুয়াল নজরদারি সিস্টেম বসানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
তিনি বলেন, ওই পর্যালোচনা এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকি এবং এই নজরদারি ব্যবস্থার ক্রমশ বাড়তে থাকা সক্ষমতা ও সংশ্লিষ্টতার আলোকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, চীন সব সময় তার কোম্পানিগুলোকে বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনার সময় স্থানীয় আইন মেনে চলতে উৎসাহ দেয়।
তিনি আরও বলেন, চীন দৃঢ়ভাবে তার দেশের কোম্পানিগুলোকে অযৌক্তিকভাবে দমিয়ে রাখতে কিছু লোকের জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার বাড়াবাড়ির বিরোধিতা করে। চীন সরকার জোরালোভাবে চীনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈধ ও আইনি অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষা করবে।
যুক্তরাজ্যের এই নির্দেশনা ওইসব ক্যামেরার ক্ষেত্র প্রযোজ্য হবে— যেগুলো চীনের নিরাপত্তা আইন সাপেক্ষে তৈরি করা। আর এই নির্দেশনার আওতায় যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে মূল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং সেগুলো সম্পূর্ণরূপে সরানোর জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাজ্যের কয়েক ডজন আইনপ্রণেতা হিকভিশন এবং ডাহুয়া নামের চীনের আংশিক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির তৈরি নিরাপত্তা ক্যামেরা বিক্রি এবং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। চীনের নিজ নাগরিকদের ক্ষেত্রে কোম্পানি দুটির এসব পণ্যের মাধ্যমে মানবাধিকার ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনের উদ্বেগ থেকে আইনপ্রণেতারা এই আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এবার সেই আবেদনে সাড়া দিয় যুক্তরাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল।
এদিকে হিকভিশন এক বিবৃতিতে রয়টার্সের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি বিস্তারিত জানতে তারা কাজ করবে। তবে ডাহুয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিজনেস আওয়ার/২৮ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ