বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়াতকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আবিরকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণধোলাইের চেষ্টা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে আবিরের ফের রিমান্ডের আবেদনের জন্য আদালতে তোলার আগে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোমবার সকালে পিবিআই গাড়িতে করে আবিরকে ফের রিমান্ডের আবেদনের জন্য আদালতে নিয়ে আসে। এ সময় ২০ মিনিট পিবিআইয়ের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে আদালত প্রাঙ্গণে থাকা স্বজন ও সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আসামিকে হেফাজতে নেয়।
এদিকে আসামি আবিরের দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ফের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এ বিষয়ে পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মনোজ কুমার দে বলেন, আদালতের নির্দেশে প্রথমবার দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আবির বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আরও তথ্যের জন্য তাকে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত শিশু আয়াতের স্বজন ও সাধারণ মানুষ অভিযুক্ত আবিরের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় বন্দরটিলা ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে আয়াত। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) আবির মিয়াকে (১৯) আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আটকের পর পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে আবির আলী জানান, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন তিনি। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ কেটে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবির জানিয়েছে, ছয়-সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তার মোবাইল ফোনের সিম কাজ না করায় মুক্তিপণের জন্য শিশুটির পরিবারকে কল দিতে পারেনি সে। ধরা পড়ার ভয়ে শিশুটিকে কেটে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেয় আবির।
বিজনেস আওয়ার/২৮ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ