ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • 79

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে আলিনা ইসলাম আয়াতের (৫) লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) বেলা তিনটার দিকে নগরের বন্দরটিলা আকমল আলী রোড এলাকার একটি নালা থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক মনোজ দে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে আলিনা ইসলাম আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে শিশুটি মক্তবে যায়নি। উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার ১০ দিন পর গত শুক্রবার জানতে পারে, তাদের সন্তান খুন হয়েছে পরিচিতজন আবির মিয়ার হাতে। আয়াত তাকে ডাকত চাচ্চু বলে। আয়াতের বাবা সোহেল রানা বাড়ির পাশে একটি মুদির দোকান চালান।

পুলিশকে আবির জানান, আয়াতকে অপহরণ করেন মুক্তিপণের জন্য। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেন।

ঘাতক আবীর আলী (১৯) নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুর জেলায়।

গত ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর গত ২৫ নভেম্বর আবীরকে নিয়ে পুলিশ নগরীর আকমল আলী সড়কের স্লুইস গেট সংলগ্ন নালায় এবং পরবর্তীতে আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে-টার্মিনাল এলাকার সমুদ্র পাড়ে যায়। ‘সাগরের পানিতে’ ভেসে যাওয়ায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তবে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করে। এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আয়াতের বাবা বাদী হয়ে নগরের ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। রোববার শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যায় অভিযুক্ত রিমান্ডে থাকা আবীর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ফের মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলোর সন্ধানে তল্লাশি চালায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো।

সর্বশেষ, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার আসামি আবির আলীর বাবা আজহারুল ও মা আলো বেগমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আবির আলীর বোনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তাকে শিশু আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৩০ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শিশু আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে আলিনা ইসলাম আয়াতের (৫) লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) বেলা তিনটার দিকে নগরের বন্দরটিলা আকমল আলী রোড এলাকার একটি নালা থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক মনোজ দে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে আলিনা ইসলাম আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে শিশুটি মক্তবে যায়নি। উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার ১০ দিন পর গত শুক্রবার জানতে পারে, তাদের সন্তান খুন হয়েছে পরিচিতজন আবির মিয়ার হাতে। আয়াত তাকে ডাকত চাচ্চু বলে। আয়াতের বাবা সোহেল রানা বাড়ির পাশে একটি মুদির দোকান চালান।

পুলিশকে আবির জানান, আয়াতকে অপহরণ করেন মুক্তিপণের জন্য। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেন।

ঘাতক আবীর আলী (১৯) নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুর জেলায়।

গত ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর গত ২৫ নভেম্বর আবীরকে নিয়ে পুলিশ নগরীর আকমল আলী সড়কের স্লুইস গেট সংলগ্ন নালায় এবং পরবর্তীতে আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে-টার্মিনাল এলাকার সমুদ্র পাড়ে যায়। ‘সাগরের পানিতে’ ভেসে যাওয়ায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তবে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করে। এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আয়াতের বাবা বাদী হয়ে নগরের ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। রোববার শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যায় অভিযুক্ত রিমান্ডে থাকা আবীর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ফের মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলোর সন্ধানে তল্লাশি চালায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো।

সর্বশেষ, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার আসামি আবির আলীর বাবা আজহারুল ও মা আলো বেগমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আবির আলীর বোনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তাকে শিশু আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৩০ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: