বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধরে পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) একেএম নাসির উল্যাহ। আদালতের আদাবর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এশারত আলী বিষয়টি জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন—আরিফ মাহমুদ জয়, মো. মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, মো. তানভির হাসান, তানিফ মোল্লা, মো. সজীব চৌধুরী, শ্রী অসিম কুমার পাল, মো. লিটন আহম্মেদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেদুওয়ান সাব্বির ওরফে সজিব, ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়না।
এদিকে আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় ও আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে আবেদন করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এএসপি আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার সিএমএম আদালতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।
তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বিজনেস আওয়ার/৩০ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ