ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোহরাওয়ার্দী ছাড়া বিকল্প মাঠের প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করবে বিএনপি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • 52

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ তীর ছাড়া অন্য কোনো উপযুক্ত মাঠ দিলে বিএনপি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই দুটি জায়গা ব্যতীত রাজধানীতে অন্য কোনো স্থানের বিকল্প প্রস্তাব দিলে বিএনপি সেটি বিবেচনা করবে করবে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় আমরা। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সাহেব গতকাল (শনিবার) বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া ঢাকার ভেতরে সমাবেশের জন্য বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করা হবে।

আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা আমাদের পরবর্তী দাবি জানাব। ভবিষ্যৎ কর্মসূচির কথা বলব। ’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণসমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য প্রায় মাসখানেক আগে ঢাকা জেলা আদালতে জঙ্গি নাটকের অবতারণা করেছে। বেশ কিছুদিন চুপ থেকে এখন সেই জঙ্গি ধরার নামে মেস, আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে পুলিশ ব্লক রেইড দিচ্ছে। পুলিশের এই হানা মূলত বিএনপির নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার, হয়রানির ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য।

পুলিশের আইজিপির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের আইজি বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে ঘিরে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তাহলে কেন এই নাটক অভিযান?

সরকার এক সুদূরপ্রসারী অশুভ মাস্টারপ্ল্যানের পথে হাঁটছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ বানচাল করার জন্য অবৈধ সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের কথাবার্তায় ভারসাম্যহীনতার প্রভাব সুস্পষ্ট। জনগণের নিকট সুস্পষ্ট, সরকার একটি নাশকতামূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু সরকারের এতে কোনো লাভ হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদু ইসলাম প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/০৪ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সোহরাওয়ার্দী ছাড়া বিকল্প মাঠের প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করবে বিএনপি

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ তীর ছাড়া অন্য কোনো উপযুক্ত মাঠ দিলে বিএনপি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই দুটি জায়গা ব্যতীত রাজধানীতে অন্য কোনো স্থানের বিকল্প প্রস্তাব দিলে বিএনপি সেটি বিবেচনা করবে করবে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় আমরা। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সাহেব গতকাল (শনিবার) বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া ঢাকার ভেতরে সমাবেশের জন্য বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করা হবে।

আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা আমাদের পরবর্তী দাবি জানাব। ভবিষ্যৎ কর্মসূচির কথা বলব। ’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণসমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য প্রায় মাসখানেক আগে ঢাকা জেলা আদালতে জঙ্গি নাটকের অবতারণা করেছে। বেশ কিছুদিন চুপ থেকে এখন সেই জঙ্গি ধরার নামে মেস, আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে পুলিশ ব্লক রেইড দিচ্ছে। পুলিশের এই হানা মূলত বিএনপির নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার, হয়রানির ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য।

পুলিশের আইজিপির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের আইজি বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে ঘিরে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তাহলে কেন এই নাটক অভিযান?

সরকার এক সুদূরপ্রসারী অশুভ মাস্টারপ্ল্যানের পথে হাঁটছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ বানচাল করার জন্য অবৈধ সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের কথাবার্তায় ভারসাম্যহীনতার প্রভাব সুস্পষ্ট। জনগণের নিকট সুস্পষ্ট, সরকার একটি নাশকতামূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু সরকারের এতে কোনো লাভ হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদু ইসলাম প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/০৪ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: