বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত মকবুল হোসেন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রী হালিমা খাতুন শিশু সন্তান মিথিলাকে (৭) নিয়ে মুকবুলের মরদেহ শনাক্ত করতে এসে এমন দাবি করেন।
হালিমা খাতুন জানান, তারা মিরপুর ১১ এর বাউনিয়ায় লালমাটি এ ব্লকের টিনশেড কলোনিতে থাকেন। তার স্বামী মকবুল স্থানীয় একটি পুঁতি-বুটিকের কারখানায় হাতের কাজ করতেন। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কাঁদতে কাঁদতে শুধু এটুকুই বলছিলেন, এর বেশি কিছু জানানোর পরিস্থিতিতে ছিলেন না তিনি।
তিনি জানান, সকালে মকবুলকে তার এক বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। পরে খবরে জানতে পারেন তার স্বামী মারা গেছেন। পরে হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
মকবুলের গ্রামের বাড়ী নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায়। তার বাবা মৃত আবদুস সামাদ। মকবুলরা চার বোন তিন ভাই। তিনি ভাইদের মধ্যে সবার ছোট।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার পল্টনে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করবে না বিএনপি।
বিজনেস আওয়ার/০৭ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ