ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়নাতদন্তের স্বার্থে শিশু মাইশার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
  • 49

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার (৫)-এর হাতের আঙ্গুল অপারেশন করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার রূপনগর থানার মামলায় মাইশার লাশ দাফন করার ১২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামে পারিবারিক কবস্থান থেকে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাশ, কুড়িগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রেদওয়ান ইসলাম, স্থানীয় কমিশনার জমসেদ আলী টুংকু ও মাইশার পরিবারসহ এলাকাবাসী।

মাইশার বাবা মোজাফফর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। মেয়ের মরদেহ গোসলের সময় দেখতে পাই পেটে ২০টি সেলাই। আমি নিশ্চিত ওরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি মামলা করেছি। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

নয়ন দাশ বলেন, আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের স্বার্থে কবর থেকে মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়। আদালত সম্মতি দিলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোমবার মাইশার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রেদওয়ান ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবার করা মামলার প্রেক্ষিতে আজকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর যে রিপোর্টে আসল তথ্য জানা যাবে।

উল্লেখ্য, শিশু মাইশার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। মাত্র ৯ মাস বয়সে চুলার আগুনে মাইশার ডান হাতের আঙুল পুড়ে কুঁকড়ে যায়। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে শিশুটির আগুনে পোড়া হাতের আঙুলের অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয়। পরে শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন তার বাবা-মা। মরদেহ গোসলের সময় পেটে ২০টি সেলাই দেখতে পেয়ে পরিবারের দাবি করছে মাইশাকে হত্যা করে শরীরের অঙ্গ বের করে নিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকেরা।

বিজনেস আওয়ার/১২ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ময়নাতদন্তের স্বার্থে শিশু মাইশার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার (৫)-এর হাতের আঙ্গুল অপারেশন করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার রূপনগর থানার মামলায় মাইশার লাশ দাফন করার ১২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামে পারিবারিক কবস্থান থেকে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাশ, কুড়িগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রেদওয়ান ইসলাম, স্থানীয় কমিশনার জমসেদ আলী টুংকু ও মাইশার পরিবারসহ এলাকাবাসী।

মাইশার বাবা মোজাফফর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। মেয়ের মরদেহ গোসলের সময় দেখতে পাই পেটে ২০টি সেলাই। আমি নিশ্চিত ওরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি মামলা করেছি। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

নয়ন দাশ বলেন, আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের স্বার্থে কবর থেকে মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়। আদালত সম্মতি দিলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোমবার মাইশার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রেদওয়ান ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবার করা মামলার প্রেক্ষিতে আজকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর যে রিপোর্টে আসল তথ্য জানা যাবে।

উল্লেখ্য, শিশু মাইশার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। মাত্র ৯ মাস বয়সে চুলার আগুনে মাইশার ডান হাতের আঙুল পুড়ে কুঁকড়ে যায়। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে শিশুটির আগুনে পোড়া হাতের আঙুলের অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয়। পরে শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন তার বাবা-মা। মরদেহ গোসলের সময় পেটে ২০টি সেলাই দেখতে পেয়ে পরিবারের দাবি করছে মাইশাকে হত্যা করে শরীরের অঙ্গ বের করে নিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকেরা।

বিজনেস আওয়ার/১২ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: