আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর্জেন্টিনার শহরের বুয়েন্স আইরেস থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণের গ্রাম রোজারিও। সেই গ্রামেই মেসির জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন। ফুটবল খেলার জন্য খুব অল্প বয়সে জন্মস্থান ছেড়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। রোজারিও ত্যাগ করার আগে শহরটির স্কুল ‘গ্রাল লাস হেরাস’-এ ১ম থেকে ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। আবেগঘন চিঠি লিখেছেন মেসির তার ছোটবেলর প্রথম শিক্ষক মনিকা দমিনা। দেখা করে একবার হলেও মেসিকে জড়িয়ে ধরতে চান ওই শিক্ষক।
লিওনেল মেসির হাত ধরে তৃতীয় শিরোপার স্বপ্ন দেখছে আলবিসেলেস্তেরা। মেসির শৈশবের স্কুল থেকে শুরু করে তার সাবেক ক্লাব সবখানেই বিরাজ করছে উৎসবের প্রস্তুতি। ৭ বারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী তারকার শেষ বিশ্বকাপটা জয়ে রাঙাতে উৎসাহ দিচ্ছেন কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী। ফাইনালে নামার আগে তারকা সুপারস্টারকে আবেগঘন চিঠি লিখেছেন তার ছোটবেলর শিক্ষক মনিকা দমিনা। দেখা করে একবার হলেও মেসিকে জড়িয়ে ধরতে চান ওই শিক্ষক।
দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে আবারও বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে আর্জেন্টিনা। লড়াইটাও কঠিন প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের সঙ্গে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে মেসিদের সাহস যোগাচ্ছেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার অজস্র সমর্থক। তেমনিভাবেই তারকা ফুটবলার মেসিকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন তার ছোটবেলার প্রথম শিক্ষক মনিকা দমিনা।
চিঠিতে মনিকা লিখেছেন, ‘হ্যালো লিও। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তোমার শিক্ষিকা হতে পেরেছি। আমার ছাত্র হওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। সব সময় একই রকম থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
ওই শিক্ষক লিখেন, ‘তুমি খুব সাধারণ, বিনয়ী এবং দুর্দান্ত একজন মানুষ। কখনও বদলাবে না। তোমার জীবনের অংশ হতে পেরে যে গৌরব অনুভব করছি, সেই উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন কিছু চাওয়ার জন্য দুঃখিত। অনেক বিপর্যয়ের মধ্যেও আমাদের এতটুকু সুখ দেয়ার জন্যই তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমার হাসিমুখটা দেখাই আমার সুখ। তুমি তোমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছ-এটা আমার ভালো লাগে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমি তোমার শিক্ষিকা, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। তোমার ছোটবেলার শিক্ষিকা হওয়ার সুবাদে তোমাকে একবার জড়িয়ে ধরতে চাই। বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইল।’
বিজনেস আওয়ার/১৮ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ