বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: যে প্রক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি পেয়েছিলেন, সেই প্রক্রিয়ায়-ই তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী বরাবর খুব শিগগিরই চিঠি দেবে তার পরিবার। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, মূলত, প্রোপার ট্রিটমেন্টের জন্য নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল সরকার। চরম অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা।
তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) তো এখনও অসুস্থ। করোনার কারণে তার প্রোপার ট্রিটমেন্ট সম্ভব হয়নি। সুতরাং সাময়িক মুক্তির মেয়াদ তো বাড়াতেই হবে। আমি যতদূর জানি, মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন করা হয়নি। শিগগিরই হয়তো করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খালেদা জিয়ার পরিবারের এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হবে। তবে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে দল সম্পৃক্ত হবে না।
উল্লেখ্য, মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র এবং আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয় খালেদা জিয়ার পরিবার। ওই চিঠিতে মানবিক কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়। অবশ্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হলেও পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে উল্লেখ করা হয়।
পরিবারের ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এবং নভেল করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর গত পাঁচ মাস গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের সব চেয়ে বড় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) এবং বড় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহণের পরও যিনি ভালো হননি, তিনি বাসায় থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন, এমনটি আশা করি কীভাবে?
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পরিবারের পক্ষ থেকে এবার যে চিঠি দেওয়া হবে, সেখানে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। সরকারের সম্মতি পেলে এবং করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি উন্নতি হলে নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ খালেদা জিয়াকে লন্ডনে পাঠাতে চায় তার পরিবার।
বিজনেস আওয়ার/২৩ আগস্ট, ২০২০/এ