ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিচ হ্যাচারিতে আশা ক্ষীণ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • 41

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলার পরে ৬ বছর আগে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছে কোম্পানিটি। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের আশা এখন খুবই ক্ষীণ হয়ে গেছে।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মাণের জন্য সরকার বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলেছে। এছাড়া হ্যাচারি প্লান্ট গঠনের জন্য থাকা কিছু জমিও অধিগ্রহন করেছে। যাতে করে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে কোম্পানির পুরো বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সরকার বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলার পরেও আর্থিক হিসাবে ২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে এরমধ্যে থাকা কারখানা ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্টের সম্পদের মূল্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। এমনকি ওই সম্পদের সঠিক তথ্য মূল্যায়নে ইমপেয়ারমেন্ট টেস্ট করার কোন সুযোগ ছিল না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

বন্ধ থাকা এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৬ বছর ধরে গ্রাহকের কাছে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে আসছে। যে অর্থ আদায় নিয়ে এরইমধ্যে শঙ্কা তৈরী হয়েছে। এই অবস্থায় ওই পাওনার বিপরীতে সঞ্চিত (প্রভিশনিং) গঠন বাধ্যতামূলক হলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এতে করে নিট লোকসানের পরিমাণ কম ও মোট সম্পদের পরিমাণ বেশি করে দেখানো হয়েছে।

এই কোম্পানির কাছে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দাবি করে চিঠি দিয়েছে আয়কর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই দাবি পরিশোধে পর্যাপ্ত প্রভিশনিং করেনি। যদিও আয়কর কর্তৃপক্ষের দাবির বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।

অগ্রিম প্রদান হিসেবে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক হিসাবে দেখিয়ে আসছে বিচ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ। যে টাকা আদায় হবে বলে তারা আশাবাদি। কিন্তু এরমধ্যে এমন অর্থও রয়েছে, যেগুলো ৫ বছর ধরে কোন সমন্বয় হয়নি।

এদিকে বীচ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ আইএএস-১২ এর ৫৮ অনুযায়ি, ডেফার্ড ট্যাক্স গণনা করেনি। এছাড়া আইএএস-১২ এর ১৭ অনুযায়ি রিলেটেড পার্টি ডিসক্লোজারস দেয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিচ হ্যাচারির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৫.০৩ শতাংশ। কোম্পানিটির বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪১.৭০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/২৫ ডিসেম্বর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিচ হ্যাচারিতে আশা ক্ষীণ

পোস্ট হয়েছে : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলার পরে ৬ বছর আগে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছে কোম্পানিটি। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের আশা এখন খুবই ক্ষীণ হয়ে গেছে।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মাণের জন্য সরকার বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলেছে। এছাড়া হ্যাচারি প্লান্ট গঠনের জন্য থাকা কিছু জমিও অধিগ্রহন করেছে। যাতে করে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে কোম্পানির পুরো বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সরকার বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলার পরেও আর্থিক হিসাবে ২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে এরমধ্যে থাকা কারখানা ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্টের সম্পদের মূল্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। এমনকি ওই সম্পদের সঠিক তথ্য মূল্যায়নে ইমপেয়ারমেন্ট টেস্ট করার কোন সুযোগ ছিল না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

বন্ধ থাকা এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৬ বছর ধরে গ্রাহকের কাছে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে আসছে। যে অর্থ আদায় নিয়ে এরইমধ্যে শঙ্কা তৈরী হয়েছে। এই অবস্থায় ওই পাওনার বিপরীতে সঞ্চিত (প্রভিশনিং) গঠন বাধ্যতামূলক হলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এতে করে নিট লোকসানের পরিমাণ কম ও মোট সম্পদের পরিমাণ বেশি করে দেখানো হয়েছে।

এই কোম্পানির কাছে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দাবি করে চিঠি দিয়েছে আয়কর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই দাবি পরিশোধে পর্যাপ্ত প্রভিশনিং করেনি। যদিও আয়কর কর্তৃপক্ষের দাবির বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।

অগ্রিম প্রদান হিসেবে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক হিসাবে দেখিয়ে আসছে বিচ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ। যে টাকা আদায় হবে বলে তারা আশাবাদি। কিন্তু এরমধ্যে এমন অর্থও রয়েছে, যেগুলো ৫ বছর ধরে কোন সমন্বয় হয়নি।

এদিকে বীচ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ আইএএস-১২ এর ৫৮ অনুযায়ি, ডেফার্ড ট্যাক্স গণনা করেনি। এছাড়া আইএএস-১২ এর ১৭ অনুযায়ি রিলেটেড পার্টি ডিসক্লোজারস দেয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিচ হ্যাচারির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৫.০৩ শতাংশ। কোম্পানিটির বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪১.৭০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/২৫ ডিসেম্বর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: