স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে রাতে মাঠে নামছে বায়ার্ন মিউনিখ ও প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। বিশ্বের জন্য বছরের সবচেয়ে বড় ফুটবল রাত আজ! আর এই প্রথমবারের মতো বন্ধ স্টেডিয়ামে হতে যাচ্ছে খেলা। পর্তুগালের লিসবনে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১টায়। সরাসরি দেখাবে সনি টেন-২।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল বায়ার্নের জন্য ডাল-ভাতের মতোই। এটি তাদের ১১ নম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। এই ট্রফি জিতেছে তারা পাঁচবার। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এটিই পিএসজি’র অভিষেক। তাই আজ তারা শিরোপা জিতলে ইতিহাসও গড়বে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে স্পষ্ট ফেভারিট জার্মান দৈত্য বায়ার্ন-ই। যারা হারেনি একটি ম্যাচও। কিন্তু চেলসি-বার্সেলোনার মতো শক্তিশালী দলকে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা যারা রাখে, সেই পিএসজিও যে কম ভয়ঙ্কর হবে না, সেই বার্তাও দিয়ে রেখেছে ফরাসি জায়ান্টরা।
এবারের লড়াইটা মূলত সেরা ফরোয়ার্ড বনাম সেরা রক্ষণের। দু’দলের পরিসংখ্যানই বলছে তেমনটা। বায়ার্ন যেমন গোলের ফোয়ারা ছুটিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়েছে। তেমনি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে পিএসজি। তাই সম্ভাবনা রয়েছে দুটি দলেরই। এই দুইয়ের লড়াইয়ে কে জেতে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।
প্রতিপক্ষ হিসেবে পিএসজিকে খুব একটা পছন্দ করে না বায়ার্ন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্যায়ে এই দুটি দল মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। যে লড়াইয়ে পিএসজি জিতেছে ৫ বার। তিনবার জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বায়ার্ন। শেষবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল দুটি দল ২০১৭ সালে।
তাই বলে এমবাপ্পে, নেইমার ও দি মারিয়ার সমন্বয়ে গড়া পিএসজির আক্রমণভাগকেও হেলায় ফেলা যাবে না। বায়ার্নের প্রেসিং ফুটবল তাদের রক্ষণে অনেক সময়ই ফাঁকা জায়গা তৈরি করে। তাই এমবাপ্পের গতি যেমন তুরুপের তাস হতে পারে, তেমনি একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন নেইমার।
বিজনেস আওয়ার/২৩ আগস্ট, ২০২০/এ