ঢাকা , রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে গরু-ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • 293

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: এক বছরে দেশে কৃষকের গোয়ালে গরু, ছাগল, মহিষ ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে প্রকাশিত ‘কৃষি শুমারি ২০১৯’ এর রিপোর্ট প্রকাশ হয়। কৃষি শুমারির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে দেখা যায়, দেশে মোট গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার।
আর ছাগলের সংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ১০ বছরে গরু, মহিষ, ছাগল ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ শুমারিতে মোট মোরগ-মুরগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ ৩ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার। হাঁসের সংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার।

বেড়েছে ছাগল, কমেছে গরু
কৃষিশুমারি সাধারণত ১০ বছর পরপর করা হয়। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৯ সালের শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই বছরের ৯-২০ জুন পঞ্চম কৃষিশুমারি পরিচালিত হয়।

কৃষিশুমারিতে দেশের কৃষি জমির পরিমাণ, মালিকানা, সেচ ব্যবস্থা, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ, ভূমির ব্যবহার, হাঁস-মুরগির ও গবাদিপশুর সংখ্যা ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

শুমারির তথ্যে দেখা যায়, দেশে মোট কৃষি খানার সংখ্যা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার যা, ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার।

দেশে নিট আবাদি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। এর মধ্যে নিট অস্থায়ী ফসলি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর এবং স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর।

শুমারির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের জমি কিছুটা কমলেও, আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি ফসল চাষের জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফসলের নিবিড়তা পাওয়া গেছে ২১৪, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৭৩।

কৃষিশুমারি ২০১৯ এ মোট মৎস্য চাষের জমির পরিমাণ ১২ লাখ ১২ হাজার ১০৭ একর। ব্যবহারভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুকুরে মাছ চাষের জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৬ লাখ ৮১ হাজার একর।

কৃষিশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বিজনেস আওয়ার/২৭ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেশে গরু-ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে

পোস্ট হয়েছে : ০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: এক বছরে দেশে কৃষকের গোয়ালে গরু, ছাগল, মহিষ ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে প্রকাশিত ‘কৃষি শুমারি ২০১৯’ এর রিপোর্ট প্রকাশ হয়। কৃষি শুমারির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে দেখা যায়, দেশে মোট গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লাখ ৫২ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার।
আর ছাগলের সংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ১০ বছরে গরু, মহিষ, ছাগল ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ শুমারিতে মোট মোরগ-মুরগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ ৩ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার। হাঁসের সংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার, যা ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার।

বেড়েছে ছাগল, কমেছে গরু
কৃষিশুমারি সাধারণত ১০ বছর পরপর করা হয়। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৯ সালের শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই বছরের ৯-২০ জুন পঞ্চম কৃষিশুমারি পরিচালিত হয়।

কৃষিশুমারিতে দেশের কৃষি জমির পরিমাণ, মালিকানা, সেচ ব্যবস্থা, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ, ভূমির ব্যবহার, হাঁস-মুরগির ও গবাদিপশুর সংখ্যা ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

শুমারির তথ্যে দেখা যায়, দেশে মোট কৃষি খানার সংখ্যা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার যা, ২০০৮ সালের শুমারিতে ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার।

দেশে নিট আবাদি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। এর মধ্যে নিট অস্থায়ী ফসলি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর এবং স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর।

শুমারির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের জমি কিছুটা কমলেও, আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি ফসল চাষের জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফসলের নিবিড়তা পাওয়া গেছে ২১৪, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৭৩।

কৃষিশুমারি ২০১৯ এ মোট মৎস্য চাষের জমির পরিমাণ ১২ লাখ ১২ হাজার ১০৭ একর। ব্যবহারভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুকুরে মাছ চাষের জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৬ লাখ ৮১ হাজার একর।

কৃষিশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বিজনেস আওয়ার/২৭ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: