ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ১৮ হাজার কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • 54

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসেবে) প্রায় ১৮ হাজর ১৯০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বা ১৮ হাজর ১৯০ কোটি টাকা। আগের মাস নভেম্বরের চেয়ে প্রায় ১০ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭০ কোটি টাকা বেশি। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই মাসের (ডিসেম্বর) তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই-এ এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরই কমতে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ। পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।

এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাব বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার বা ৩৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। এক বছর আগের একই দিনে ছিল ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশের রিজার্ভ কমেছে এক হাজার ১৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। আর এক মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৬) ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করলে বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে, এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আমরা মনে করি বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব আমাদের এখানে এসেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের যে হিসাব তাতে অনেক লোক দেশের বাইরে গেছেন। তারা যখন বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো শুরু করবেন তখন রেমিট্যান্স বাড়বে। সামনে রপ্তানির একটা চ্যালেঞ্জ আছে, আবার ইমপোর্টও কিছু থাকে। সব মিলে হুন্ডিকে যদি কেয়ারফুলি প্রতিহত করা যায়, তাহলে রিজার্ভ আবারও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।

মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের তেল-কয়লা আমদানি করতে হচ্ছে। এসব কারণে ইমপোর্ট একটু বেড়েছে, যেটা মাঝখানে কমেছিল। এতে জরুরি প্রয়োজনে পেমেন্ট বেশি হচ্ছে, রিজার্ভও একটু কমছে। এটা সাময়িক কমা, ৩৪ বিলিয়নের মধ্যেই আমরা তিন-চার মাস ধরে আছি। সামনে ঈদ আছে, উৎসব আছে। রেমিট্যান্স বাড়বে, রিজার্ভও ইতিবাচক অবস্থানে যাবে। ব্যাংকগুলোও এলসি পরিশোধ করতে পারবে। তখন রিজার্ভ থেকে ডলার খরচ করতে হবে না।

বিজনেস আওয়ার/০১ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ১৮ হাজার কোটি টাকা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসেবে) প্রায় ১৮ হাজর ১৯০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বা ১৮ হাজর ১৯০ কোটি টাকা। আগের মাস নভেম্বরের চেয়ে প্রায় ১০ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭০ কোটি টাকা বেশি। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই মাসের (ডিসেম্বর) তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই-এ এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরই কমতে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ। পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।

এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাব বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার বা ৩৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। এক বছর আগের একই দিনে ছিল ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশের রিজার্ভ কমেছে এক হাজার ১৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। আর এক মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৬) ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করলে বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে, এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আমরা মনে করি বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব আমাদের এখানে এসেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের যে হিসাব তাতে অনেক লোক দেশের বাইরে গেছেন। তারা যখন বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো শুরু করবেন তখন রেমিট্যান্স বাড়বে। সামনে রপ্তানির একটা চ্যালেঞ্জ আছে, আবার ইমপোর্টও কিছু থাকে। সব মিলে হুন্ডিকে যদি কেয়ারফুলি প্রতিহত করা যায়, তাহলে রিজার্ভ আবারও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।

মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের তেল-কয়লা আমদানি করতে হচ্ছে। এসব কারণে ইমপোর্ট একটু বেড়েছে, যেটা মাঝখানে কমেছিল। এতে জরুরি প্রয়োজনে পেমেন্ট বেশি হচ্ছে, রিজার্ভও একটু কমছে। এটা সাময়িক কমা, ৩৪ বিলিয়নের মধ্যেই আমরা তিন-চার মাস ধরে আছি। সামনে ঈদ আছে, উৎসব আছে। রেমিট্যান্স বাড়বে, রিজার্ভও ইতিবাচক অবস্থানে যাবে। ব্যাংকগুলোও এলসি পরিশোধ করতে পারবে। তখন রিজার্ভ থেকে ডলার খরচ করতে হবে না।

বিজনেস আওয়ার/০১ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: