ঢাকা , রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুস নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, রাজস্বের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • 19

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মাদারীপুরে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সার্কেল অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুস লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

তিনি জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকালে ১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফাঁস হয়। যেখানে দেখা যায়, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের মাদারীপুর সার্কেল অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবীর অফিস কক্ষে বসে ঘুসের টাকা গ্রহণ করছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। পরে সোমবার বিকালে খুলনার ভ্যাট কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার ম. সফিউজ্জামান অভিযুক্তদের প্রত্যাহার করে খুলনা সদরদফতরে সংযুক্ত করেন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে চিঠি দেওয়া হলে তারা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্ত দুজনকেই খুলনা অফিসে সংযুক্ত করে অফিসিয়াল তদন্তও করবে ভ্যাট কমিশনারেট।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন দাবি করেন, ‘৫০০ টাকার কয়েকটি নোট দেওয়ার পর তা গুণে পকেটে নেন রফিকুল ইসলাম। আর পাশে বসে ছিলেন ইমরান কবীর। দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ঘুসের টাকার জন্য দর কষাকষি করেছেন। এমনকি চাহিদা মতো প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরও দুই হাজার টাকা মাসোয়ারা চেয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। পরে আমি ও আমার বন্ধু অমিত হোসেন গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেই। এতেও বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের ওপর চাপ এসেছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘শুনেছি, তাদের বদলি হয়েছে। এতে তো দোষীর কোনও বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার ছেয়ে বড় জেলা খুলনায় বদলি হলেন। সেখানে রেখে তাদের তদন্ত হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। স্ট্যান্ড রিলিজ কোন সমাধান হতে পারে না, দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হোক, এটাই চাই।’

তবে এ বিষয়ে জানতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মাদারীপুর সার্কেল অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হককে মঙ্গলবার দুপুরে তার অফিসে গেলেও পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি। বার্তা পাঠালেও রিপ্লাই আসেনি।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জানুয়ারি, ২০২৩/ এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঘুস নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, রাজস্বের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

পোস্ট হয়েছে : ০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মাদারীপুরে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সার্কেল অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুস লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

তিনি জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকালে ১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফাঁস হয়। যেখানে দেখা যায়, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের মাদারীপুর সার্কেল অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবীর অফিস কক্ষে বসে ঘুসের টাকা গ্রহণ করছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। পরে সোমবার বিকালে খুলনার ভ্যাট কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার ম. সফিউজ্জামান অভিযুক্তদের প্রত্যাহার করে খুলনা সদরদফতরে সংযুক্ত করেন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে চিঠি দেওয়া হলে তারা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্ত দুজনকেই খুলনা অফিসে সংযুক্ত করে অফিসিয়াল তদন্তও করবে ভ্যাট কমিশনারেট।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন দাবি করেন, ‘৫০০ টাকার কয়েকটি নোট দেওয়ার পর তা গুণে পকেটে নেন রফিকুল ইসলাম। আর পাশে বসে ছিলেন ইমরান কবীর। দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ঘুসের টাকার জন্য দর কষাকষি করেছেন। এমনকি চাহিদা মতো প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরও দুই হাজার টাকা মাসোয়ারা চেয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। পরে আমি ও আমার বন্ধু অমিত হোসেন গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেই। এতেও বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের ওপর চাপ এসেছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘শুনেছি, তাদের বদলি হয়েছে। এতে তো দোষীর কোনও বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার ছেয়ে বড় জেলা খুলনায় বদলি হলেন। সেখানে রেখে তাদের তদন্ত হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। স্ট্যান্ড রিলিজ কোন সমাধান হতে পারে না, দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হোক, এটাই চাই।’

তবে এ বিষয়ে জানতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মাদারীপুর সার্কেল অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হককে মঙ্গলবার দুপুরে তার অফিসে গেলেও পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি। বার্তা পাঠালেও রিপ্লাই আসেনি।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জানুয়ারি, ২০২৩/ এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: