বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক ও দেশের শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা ও সারাদেশে পোস্টার লাগিয়ে গুজব ছড়িয়েছে জামায়াত-শিবিরের একটি চক্র! ইসলামী ব্যাংকে ‘অনিয়ম’ হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। এটি এক সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত মীর কাশিম আলীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের দখলে ছিল। পরবর্তীতে ব্যাংকটি স্বাধীনতাবিরোধীদের দখল থেকে মুক্ত হলে জামায়াত-শিবির এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে। দেশবিরোধী চক্র সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাংকিং খাত নিয়ে আস্থার সংকট তৈরির চেষ্টা চালায়। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য দেশের আর্থিকখাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হারুন অর রশীদ। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেই পাঁচজন হলেন মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম।
এদের বিষয়ে হারুন বলেন, গ্রেফতার আসামিরা দেশে বসে গুজব ছড়িয়েছেন। পাশাপাশি তাদের সহযোগীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাংকিং খাত নিয়ে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছেন। তারা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত করছেন। এই চক্রের অনেকেরই নাম পেয়েছি। এমনকি এই চক্রে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও কর্মকর্তারা রয়েছেন। আমরা সবার নাম পেয়েছি দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবিপ্রধান বলেন, জামায়াত-শিবির এস. আলম গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছেন। ব্যাংকিং খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালালেও পরবর্তীতে এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি।
বিজনেস আওয়ার/০৯ জানুয়ারি, ২০২৩/ এএইচএ