বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় লাইসেন্সকৃত একটি বন্দুক জব্দ ও গুলিবর্ষণকারী যুবক আরিফকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বাঐতারা গ্রামের হাফিজুরের ছেলে জাহিদ (১৪), হাজী হরমুজের ছেলে আব্দুল ওহাব (৭৪), মৃত শমসেরের ছেলে বারেক (৪২), নূর মোহাম্মদের ছেলে শাহিন (১৮), ইউসুফের ছেলে ওমর (২৬), কাদেরের ছেলে শফিকুল (১৫), কাবেলের ছেলে হযরত (২৪), জহিরের ছেলে সেলিম (১৬) মৃত আজাহারের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৬০),আমিনুলের ছেলে মুন্না (২১), আয়নালের ছেলে শফিকুল (২৫), শহীদুল্লাহর ছেলে শাহাদত (২০), ফজল আলীর ছেলে ইমদাদুল (১৪), আয়নাল আলীর ছেলে ফরিদুল (৫০), ফকিরচাঁনের ছেলে বাপ্পি (২২), ফরিদুলের ছেলে রাফি (১৮), ময়দান আলীর ছেলে আব্দুল বাসেদ (৩৬), আক্তার আলীর ছেলে হযরত আলী (২৮), মালেক মিয়ার ছেলে মিলন (১৮), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে তোতা মিয়া (১৮), আজিজুলের ছেলে হৃদয় (২৪), কালামের ছেলে রিপন (২৪), রাসেলের স্ত্রী মুক্তি (৩২) ও মৃত শুকুর আলীর ছেলে হাফিজুল (৪০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার সকালে একটি জমির কাগজ উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বাঐতারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে দলিল লেখক আলম হোসেনকে একই গ্রামের হেকমতের ছেলে রুবেলের মারপিট করে। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকাল থেকেই দুপক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে রুবেল গ্রুপের পক্ষে আরিফ তার লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ১৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছেন।
সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভূমি অফিস থেকে দলিল তোলা নিয়ে আলম হোসেন নামে এক দলিল লেখকের সঙ্গে রুবেল নামে এক ব্যক্তির ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষে আরিফ নামে এক যুবক তার লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়েন।
তিনি আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এখানে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে, তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।
বিজনেস আওয়ার/০৯ জানুয়ারি, ২০২৩/ এএইচএ