আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সরকারি কাজে ব্যবহৃত ফোন-ট্যাবের মতো ডিভাইসগুলোতে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই তালিকায় সব শেষ যোগ হয়েছে কেন্টাকি। মূলত সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ দেখিয়ে ডিভাইসগুলোতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।
কেন্টাকি প্রশাসন জানিয়েছে, সরকার-পরিচালিত ডিভাইসগুলোতে চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ টিকটক ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে কর্মচারী নির্দেশিকা হালনাগাদ করা হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) উইসকনসিন এবং উত্তর ক্যারোলিনার গভর্নররা সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করার আদেশে সই করেন। এ সপ্তাহের শুরুতে ওহাইও, নিউ জার্সি, আরকানসাসও একই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু রাজ্য আরও একধাপ এগিয়ে। যেমন- নিউ জার্সি ও উইসকনসিন টিকটক ছাড়াও বেশ কয়েকটি চীনা সংস্থার পণ্য, বিক্রেতা এবং সেবা নিষিদ্ধ করেছে৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস, হিকভিশন, উইচ্যাটের মালিক টেনসেন্ট হোল্ডিংস, জেডটিই করপোরেশন। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়া-ভিত্তিক ক্যাসপারস্কি ল্যাবও।
যুক্তরাষ্ট্রে এভাবে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার প্রতিক্রিয়ায় টিকটক বলেছে, ‘ভিত্তিহীন মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে’ দেশটির এতগুলো রাজ্য চীনা অ্যাপটি নিষিদ্ধ করায় তারা হতাশ। এই নীতি রাজ্যগুলোর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে ‘কিছুই করবে না’ বলেও মন্তব্য করেছে টিকটক কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের যেসব রাজ্য টিকটকের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে, সেগুলোর গভর্নরদের মধ্যে রিপাবলিকানদের সংখ্যা বেশি। তবে উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলিনা ও কেন্টাকিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গভর্নর রয়েছেন।
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ে গত নভেম্বর মাসে বলেছিলেন, টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। তার এ কথা বলার পর থেকে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সরকারি ডিভাইসে চীনা অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ বেগবান হয়।
এফবিআই’র পরিচালকের দাবি, চীন সরকার ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করতে বা তাদের ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণে টিকটক অ্যাপটিকে ব্যবহার করতে পারে।
বিজনেস আওয়ার/১৪ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ