ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগান নারী আইনপ্রণেতাকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • 69

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সাবেক নারী আইনপ্রণেতা মুরসাল নবীজাদাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় গুলিতে তার এক দেহরক্ষীও নিহত হয়েছে।

নিহত মুরসাল নবিজাদা আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন, যাদেরকে ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তিনিসহ কয়েকজন মহিলা সংসদ সদস্য ছিলেন যারা তালেবান দখলের পরেও কাবুলে ছিলেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সাবেক আফগান নারী সংসদ সদস্য এবং তার এক দেহরক্ষীকে তার বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান রোববার বলেছেন, ‘নবীজাদা এবং তার এক দেহরক্ষীকে হত্যার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।’

স্থানীয় পুলিশ প্রধান মৌলভি হামিদুল্লাহ খালিদ জানিয়েছেন, রোববার বিকেল ৩টার দিকে সাবেক ওই আফগান আইনপ্রণেতাকে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, নবীজাদার ভাই ও দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন এবং তৃতীয় নিরাপত্তারক্ষী টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।

খালিদ অবশ্য এই ঘটনার পেছনে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেননি।

আফগানিস্তানের পশ্চিমা-সমর্থিত সাবেক সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, নবীজাদার মৃত্যুতে তিনি শোকাহত এবং তার আশা, অপরাধীদের শাস্তি হবে। তিনি নিহত নবীজাদাকে ‘জনগণের প্রতিনিধি এবং সেবক’ হিসাবে উল্লেখ করেন।

নবীজাদা ২০১৯ সালে কাবুলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং বেসরকারী গোষ্ঠী মানব সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য মরিয়ম সোলাইমানখিল টুইটারে বলেছেন, নবীজাদা ছিলেন ‘আফগানিস্তানের জন্য নির্ভীক চ্যাম্পিয়ন’। তিনি লিখেছেন, ‘একজন সত্যিকারের পথনির্দেশক – শক্তিশালী, স্পষ্টভাষী নারী যিনি বিপদের মুখেও নিজে যা বিশ্বাস করেছিলেন তার পক্ষেই দাঁড়িয়েছিলেন।’

সোলাইমানখিল আরও বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও, তিনি তার জনগণের জন্য থাকার এবং লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

বিজনেস আওয়ার/১৬ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আফগান নারী আইনপ্রণেতাকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সাবেক নারী আইনপ্রণেতা মুরসাল নবীজাদাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় গুলিতে তার এক দেহরক্ষীও নিহত হয়েছে।

নিহত মুরসাল নবিজাদা আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন, যাদেরকে ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তিনিসহ কয়েকজন মহিলা সংসদ সদস্য ছিলেন যারা তালেবান দখলের পরেও কাবুলে ছিলেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সাবেক আফগান নারী সংসদ সদস্য এবং তার এক দেহরক্ষীকে তার বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান রোববার বলেছেন, ‘নবীজাদা এবং তার এক দেহরক্ষীকে হত্যার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।’

স্থানীয় পুলিশ প্রধান মৌলভি হামিদুল্লাহ খালিদ জানিয়েছেন, রোববার বিকেল ৩টার দিকে সাবেক ওই আফগান আইনপ্রণেতাকে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, নবীজাদার ভাই ও দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন এবং তৃতীয় নিরাপত্তারক্ষী টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।

খালিদ অবশ্য এই ঘটনার পেছনে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেননি।

আফগানিস্তানের পশ্চিমা-সমর্থিত সাবেক সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, নবীজাদার মৃত্যুতে তিনি শোকাহত এবং তার আশা, অপরাধীদের শাস্তি হবে। তিনি নিহত নবীজাদাকে ‘জনগণের প্রতিনিধি এবং সেবক’ হিসাবে উল্লেখ করেন।

নবীজাদা ২০১৯ সালে কাবুলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং বেসরকারী গোষ্ঠী মানব সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য মরিয়ম সোলাইমানখিল টুইটারে বলেছেন, নবীজাদা ছিলেন ‘আফগানিস্তানের জন্য নির্ভীক চ্যাম্পিয়ন’। তিনি লিখেছেন, ‘একজন সত্যিকারের পথনির্দেশক – শক্তিশালী, স্পষ্টভাষী নারী যিনি বিপদের মুখেও নিজে যা বিশ্বাস করেছিলেন তার পক্ষেই দাঁড়িয়েছিলেন।’

সোলাইমানখিল আরও বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও, তিনি তার জনগণের জন্য থাকার এবং লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

বিজনেস আওয়ার/১৬ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: