ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধাপরাধী নাজমুল হুদা গ্রেফতার

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • 48

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক নাজমুল হুদা (৭২) নামের এক যুদ্ধাপরাধীকে আত্মগোপনে থাকার প্রায় ৬ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের খান্দার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

যুদ্ধাপরাধী নাজমুল হুদা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে। তবে সাজাপ্রাপ্ত হবার আগে তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর কাজীপাড়া রোড ধরতৈল পশ্চিম পাড়া এলাকায় বসবাস করছিলেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর একটি মামলায় ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন নাজমুল।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর নাজমুল হুদার মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর তিনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, খুন, নারী ধর্ষণ ও অন্যান্য মানবতা বিরোধী কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল হুদা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর ও জামায়াত ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী কাজেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন। যার ফলে নাজমুল হুদাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা (কমপ্লেইন্ট রেজি: ক্রমিক ৪১,তাং: ১৪/১০/২০১৪, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা ৩/১৬) রুজু হয়।

পরে সেই মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে (পলাতক) ছিলেন।

র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম আরও জানান, রংপুর, দিনাজপুরে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর আসামি নাজমুল হুদা গত তিন মাস আগে বগুড়ায় আসেন। এরপর বগুড়ার খান্দার এলাকায় একটি বাসায় তার ভাতিজার সঙ্গে বাবা ছেলের পরিচয়ে বসবাস করে আসছিলেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার র‍্যাব-২ ও বগুড়ার র‍্যাব-১২ এর সদস্যরা সোমবার যৌথ অভিযান চালিয়ে নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করেন। তাকে সোমবার দিবাগত রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যুদ্ধাপরাধী নাজমুল হুদা গ্রেফতার

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক নাজমুল হুদা (৭২) নামের এক যুদ্ধাপরাধীকে আত্মগোপনে থাকার প্রায় ৬ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের খান্দার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

যুদ্ধাপরাধী নাজমুল হুদা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে। তবে সাজাপ্রাপ্ত হবার আগে তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর কাজীপাড়া রোড ধরতৈল পশ্চিম পাড়া এলাকায় বসবাস করছিলেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর একটি মামলায় ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন নাজমুল।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর নাজমুল হুদার মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর তিনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, খুন, নারী ধর্ষণ ও অন্যান্য মানবতা বিরোধী কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল হুদা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর ও জামায়াত ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী কাজেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন। যার ফলে নাজমুল হুদাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা (কমপ্লেইন্ট রেজি: ক্রমিক ৪১,তাং: ১৪/১০/২০১৪, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা ৩/১৬) রুজু হয়।

পরে সেই মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে (পলাতক) ছিলেন।

র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম আরও জানান, রংপুর, দিনাজপুরে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর আসামি নাজমুল হুদা গত তিন মাস আগে বগুড়ায় আসেন। এরপর বগুড়ার খান্দার এলাকায় একটি বাসায় তার ভাতিজার সঙ্গে বাবা ছেলের পরিচয়ে বসবাস করে আসছিলেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার র‍্যাব-২ ও বগুড়ার র‍্যাব-১২ এর সদস্যরা সোমবার যৌথ অভিযান চালিয়ে নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করেন। তাকে সোমবার দিবাগত রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: