ঢাকা , রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়ে এবার মায়ের জানাজায় ছাত্রদল নেতা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • 18

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ১০ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে শরীয়তপুরে সেলিম রেজা নামে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা তার মায়ের জানাজায় অংশ নিলেন।

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ান বিএনপি নেতা আলী আজম। সেসময়ও তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছিল।

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় সেলিম রেজাকে। ওই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

অসুস্থতাজনিত কারণে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় মারা যান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজার মা নাসিমা। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি শরীয়তপুরের সুজন দোয়াল এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।

স্বজনরা জানান, মায়ের জানাজায় অংশ নিতে আইনজীবীর মাধ্যমে রোববার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন সেলিম রেজা। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি লাভ করেন।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, তার মুক্তি নিয়েও টালবাহানা করা হয়। রোববার বিকাল ৪টা থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশী পাহারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সোমবার ভোর ৩টায় শরীয়তপুরের বাসায় পৌঁছান সেলিম রেজা। এরপর নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজায় উপস্থিত হন তিনি। এ সময়ও তাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছিল।

তারা বলেন, জানাজায় স্থানীয়রা ছাড়াও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় সেলিম রেজাকে।

শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, সেলিম রেজা রোববার রাত ১০টার দিকে আসবে বলে আমরা খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এসেছিলেন ভোররাত আড়াইটার পরে।

জানাজায় উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মায়ের জানাজার সময়ও সেলিম রেজার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। জানাজায় উপস্থিত সবাই এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়ে এবার মায়ের জানাজায় ছাত্রদল নেতা

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ১০ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে শরীয়তপুরে সেলিম রেজা নামে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা তার মায়ের জানাজায় অংশ নিলেন।

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ান বিএনপি নেতা আলী আজম। সেসময়ও তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছিল।

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় সেলিম রেজাকে। ওই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

অসুস্থতাজনিত কারণে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় মারা যান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজার মা নাসিমা। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি শরীয়তপুরের সুজন দোয়াল এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।

স্বজনরা জানান, মায়ের জানাজায় অংশ নিতে আইনজীবীর মাধ্যমে রোববার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন সেলিম রেজা। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি লাভ করেন।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, তার মুক্তি নিয়েও টালবাহানা করা হয়। রোববার বিকাল ৪টা থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশী পাহারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সোমবার ভোর ৩টায় শরীয়তপুরের বাসায় পৌঁছান সেলিম রেজা। এরপর নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজায় উপস্থিত হন তিনি। এ সময়ও তাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছিল।

তারা বলেন, জানাজায় স্থানীয়রা ছাড়াও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় সেলিম রেজাকে।

শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, সেলিম রেজা রোববার রাত ১০টার দিকে আসবে বলে আমরা খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এসেছিলেন ভোররাত আড়াইটার পরে।

জানাজায় উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মায়ের জানাজার সময়ও সেলিম রেজার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। জানাজায় উপস্থিত সবাই এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: