ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরনো চাল পলিশ করলে জেল-জরিমানার আইন হচ্ছে

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: খাদ্যে ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এতে পুরনো চাল পলিশ করে বিক্রি করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২২’-এর সংশোধিত খসড়া তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের মতামত চেয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ মতামত চাওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, খসড়া সংশোধিত আইনটির ওপর অংশীজনদের মতামত আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ মন্ত্রণালয়ের এ ঠিকানায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, সরকার নির্ধারিত সীমার বাইরে খাদ্য মজুত করা বা মজুত সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা লঙ্ঘন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে এবং জরিমানাও করা হবে।

খসড়ার ৬ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদফতরের সিল বা চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ, স্থানান্তর, ক্রয় বা বিক্রি করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

১৯৫৬ সালের ফুড (স্পেশাল কোর্ট) এবং ১৯৭৯ সালের ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে এ খসড়া আইনটির অনুমোদন দেয় এবং এটি আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

বিজনেস আওয়ার/২২ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পুরনো চাল পলিশ করলে জেল-জরিমানার আইন হচ্ছে

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: খাদ্যে ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এতে পুরনো চাল পলিশ করে বিক্রি করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২২’-এর সংশোধিত খসড়া তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের মতামত চেয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ মতামত চাওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, খসড়া সংশোধিত আইনটির ওপর অংশীজনদের মতামত আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ মন্ত্রণালয়ের এ ঠিকানায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, সরকার নির্ধারিত সীমার বাইরে খাদ্য মজুত করা বা মজুত সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা লঙ্ঘন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে এবং জরিমানাও করা হবে।

খসড়ার ৬ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদফতরের সিল বা চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ, স্থানান্তর, ক্রয় বা বিক্রি করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

১৯৫৬ সালের ফুড (স্পেশাল কোর্ট) এবং ১৯৭৯ সালের ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে এ খসড়া আইনটির অনুমোদন দেয় এবং এটি আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

বিজনেস আওয়ার/২২ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: