ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমজমের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • 38

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে পবিত্র জমজম কুপের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

বায়তুল মোকাররম মার্কেটের যেসব দোকানে এই জমজম কুপের পানি বিক্রি হয় সেসব দোকানী, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ভোক্তার মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, খোলা বাজারে এটা কিভাবে এলো, কিসের উপর ভিত্তি করে আপনারা এই পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। কোথায় থেকে, কাদের মাধ্যমে এই পানি আপনাদের হাতে আসছে। এই সব বিষয় নিয়ে এবং বাণিজ্যিকভাবে এই পবিত্র পানি বিক্রির বিষয় নিয়ে আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বসবো। আর আপনারাও এই জমজমের পানির বিক্রির উৎস সম্পর্কে মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন। তার আগ পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে বাইতুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে জমজম কুপের পানি বিক্রি বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা অমান্য করে যদি এরপরও কোন ব্যবসায়ী এই পবিত্র পানি বিক্রি করেন তাহলে সেই দোকান আমরা সীলগালা করে দিবো। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও যারা জমজম কুপের পানি বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গতকাল বায়তুল মোকাররম মার্কেটে জমজমের পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ছদ্মবেশে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করি। পরে দাম জিজ্ঞেস করলে ব্যবসায়ীরা জানান- ছোট বোতল ৩০০ আর ৫ লিটারের পানি ২৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু পানির উৎস কোথায়, কে দিল তারা তা জানায়নি। এর ফলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।

এদিকে সেমিনারে অংশ নেওয়া বায়তুল মোকাররম মার্কেটের এক ব্যবসায়ী সুলতান কবির বলেন, হজ থেকে ফেরা মোয়াল্লেমরা জমজমের পানি মার্কেটে দেয়। এরপর পাইকারি মার্কেট থেকে আমরা কিনে এনে বিক্রি করি। তবে এখন যেহেতু নতুন ঘোষণা এসেছে ফলে সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত আমরা জমজমের পানি বিক্রি করবো না।

সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/৩০ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জমজমের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে পবিত্র জমজম কুপের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

বায়তুল মোকাররম মার্কেটের যেসব দোকানে এই জমজম কুপের পানি বিক্রি হয় সেসব দোকানী, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ভোক্তার মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, খোলা বাজারে এটা কিভাবে এলো, কিসের উপর ভিত্তি করে আপনারা এই পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। কোথায় থেকে, কাদের মাধ্যমে এই পানি আপনাদের হাতে আসছে। এই সব বিষয় নিয়ে এবং বাণিজ্যিকভাবে এই পবিত্র পানি বিক্রির বিষয় নিয়ে আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বসবো। আর আপনারাও এই জমজমের পানির বিক্রির উৎস সম্পর্কে মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন। তার আগ পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে বাইতুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে জমজম কুপের পানি বিক্রি বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা অমান্য করে যদি এরপরও কোন ব্যবসায়ী এই পবিত্র পানি বিক্রি করেন তাহলে সেই দোকান আমরা সীলগালা করে দিবো। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও যারা জমজম কুপের পানি বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গতকাল বায়তুল মোকাররম মার্কেটে জমজমের পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ছদ্মবেশে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করি। পরে দাম জিজ্ঞেস করলে ব্যবসায়ীরা জানান- ছোট বোতল ৩০০ আর ৫ লিটারের পানি ২৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু পানির উৎস কোথায়, কে দিল তারা তা জানায়নি। এর ফলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।

এদিকে সেমিনারে অংশ নেওয়া বায়তুল মোকাররম মার্কেটের এক ব্যবসায়ী সুলতান কবির বলেন, হজ থেকে ফেরা মোয়াল্লেমরা জমজমের পানি মার্কেটে দেয়। এরপর পাইকারি মার্কেট থেকে আমরা কিনে এনে বিক্রি করি। তবে এখন যেহেতু নতুন ঘোষণা এসেছে ফলে সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত আমরা জমজমের পানি বিক্রি করবো না।

সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/৩০ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: