ডায়াবেটিক রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে কারকুমা ইমিউন প্লাস। সম্প্রতি টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের ওপর যৌথভাবে এক গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে আসে। এটির পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালের গবেষকরা।
গবেষণার প্রতিবেদন তথ্য মতে, কারকুমা ইমিউন প্লাস হলো টারমারিক (হলুদ) নির্ভর এক ধরনের ফর্মুলেটেড ফাংশনাল ফুড। যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীরা খুব সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং সেরে উঠতে সময় নেয়।
গবেষণা বলছে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই রোগীদের দেহে এই ফাংশনাল ফুড কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কোষীয় পর্যায়ে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে আনে। একই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ানোর মাধ্যমে রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
ইফেক্টস অব কারকুমা ইমিউন প্লাস (অ্যা টারমারিক বেজড ফর্মুলেটেড ফাংশনাল ফুড) অন অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্ড লিভার ফাংশন স্ট্যাটাস ইন টাইপ-২ ডায়বেটিক অ্যাডাল্ট পেশেন্টস’ শীর্ষক এই গবেষণা করা হয়। এতে প্রতিনিধিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সের পরিচালক ও অধ্যাপক প্রফেসর ড. খালেদা ইসলাম।
বারডেমের রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরি সায়েন্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম শওকত হাসানের তত্ত্বাবধানে বারডেম জেনারেল হাসপাতালে গবেষণার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। এছাড়া মানবদেহে কারকুমা ইমিউন প্লাস ব্যবহারের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে চারজন কো- ইনভেস্টিগেটর, তিনজন রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট এবং একজন কনসালট্যান্ট এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন।
১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৯৪ জন ডায়াবেটিক রোগী নিয়ে এ গবেষণা করা হয়। ৩০ দিন পর্যবেক্ষণের পর দেখা যায়, কারকুমা ইমিউন প্লাস সেবনে তাদের শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বায়ো-মার্কার ম্যালোনডিঅ্যালডিহাইড (এমডিএ) শতকরা ২৩ ভাগ কমে যায়। একই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বায়ো-মার্কার (টিএসি, এসওডি এবং জিএসটিএম১) যথাক্রমে শতকরা ৪৫, ৬৩ ও ১০০ ভাগ বাড়ে। অন্যদিকে লিভার ফাংশনের বায়োমার্কার (সিরাম এসজিপিটি এবং এসজিওটি) এবং কিডনি ফাংশনের বায়োমার্কারের (সিরাম ক্রিয়েটিনিন) মাত্রায় উল্ল্যেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
কারকুমা ইমিউন প্লাস একটি বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান সমৃদ্ধ ফর্মুলেটেড পণ্য। এতে কারকিউমিন, হলুদ, দারুচিনির নির্যাস, আদার নির্যাস, লবঙ্গের নির্যাস এবং গোলমরিচের নির্যাস ব্যবহার হয়।