ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপরিচালনার ভিত তৈরি করে গেছেন: প্রধানমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
  • 53

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সবকিছুর ভিত তৈরি করে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে আমাদের জন্য সবকিছু গড়ে দিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। রবিবার (৩০ আগস্ট) গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে, দেশের আইন কী হবে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, গরিবের সহায়তা করাসহ সব বিষয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশসহ সবকিছুর ভিত তৈরি করে দিয়ে গেছেন। জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদস্য করে গেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদারেরা আগে রাজারবাগে আক্রমণ করে, ওই রাতেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার আগে ৭ মার্চের ভাষণে তিনি গেরিলা যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে পাক বাহিনী নির্যাতন করেছিল, মামলা দিয়েছিল; কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তারা বঙ্গবন্ধুকে অপরাধী প্রমাণ করতে পারিনি। জনমত সব সময় তিনি পক্ষে পেয়েছেন।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু এতকিছু করার পর কিছু কিছু লোক লেখে কোনও উন্নয়নই নাকি হয়নি। কেন? কী উদ্দেশ্যে তারা এগুলো বলে। অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলে। মার্শাল ল দিয়ে কখনও গণতন্ত্র হয় না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর আমাদের পার্টির অনেক নেতাকে হত্যা করেছেন। অনেককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছেন, আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারবালার সঙ্গে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের যেন অদ্ভূত মিল রয়েছে। এই হত্যার মধ্যদিয়ে কী পেয়েছে? আজকে যদি আমরা ১৫ আগস্টের দিকে তাকাই…আজকে আপনারা জানেন, আজ আশুরার দিন। সেদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি ইমাম হোসেনকে কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ তারা ন্যায়ের পথে ছিল। কিন্তু কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় নাই।

কিন্তু ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি বা মিন্টু রোডের বাড়িতে নারী-শিশুরা রক্ষা পায়নি। ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেন এই হত্যাকাণ্ডের এক অদ্ভূত মিল রয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন-এটাই কি তার অপরাধ ছিল?

তিনি বলেন, যারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, এমন সেনা অফিসারদের হত্যা করেছেন। চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জিয়ার সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একেক রাতে ৮-১০ জন করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। চাটুকার কিছু মানুষ গণতন্ত্রের কথা বলেন। জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য। আর গণতন্ত্র থাকলেই কেবল মৌলিক চাহিদা পূরণ সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগ আছে বলেই দেশ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আর একমাত্র গণতন্ত্রিক সরকার হলেই সেটা সম্ভব।

বিজনেস আওয়ার/৩০ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপরিচালনার ভিত তৈরি করে গেছেন: প্রধানমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সবকিছুর ভিত তৈরি করে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে আমাদের জন্য সবকিছু গড়ে দিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। রবিবার (৩০ আগস্ট) গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে, দেশের আইন কী হবে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, গরিবের সহায়তা করাসহ সব বিষয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশসহ সবকিছুর ভিত তৈরি করে দিয়ে গেছেন। জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদস্য করে গেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদারেরা আগে রাজারবাগে আক্রমণ করে, ওই রাতেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার আগে ৭ মার্চের ভাষণে তিনি গেরিলা যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে পাক বাহিনী নির্যাতন করেছিল, মামলা দিয়েছিল; কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তারা বঙ্গবন্ধুকে অপরাধী প্রমাণ করতে পারিনি। জনমত সব সময় তিনি পক্ষে পেয়েছেন।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু এতকিছু করার পর কিছু কিছু লোক লেখে কোনও উন্নয়নই নাকি হয়নি। কেন? কী উদ্দেশ্যে তারা এগুলো বলে। অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলে। মার্শাল ল দিয়ে কখনও গণতন্ত্র হয় না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর আমাদের পার্টির অনেক নেতাকে হত্যা করেছেন। অনেককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছেন, আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারবালার সঙ্গে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের যেন অদ্ভূত মিল রয়েছে। এই হত্যার মধ্যদিয়ে কী পেয়েছে? আজকে যদি আমরা ১৫ আগস্টের দিকে তাকাই…আজকে আপনারা জানেন, আজ আশুরার দিন। সেদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি ইমাম হোসেনকে কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ তারা ন্যায়ের পথে ছিল। কিন্তু কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় নাই।

কিন্তু ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি বা মিন্টু রোডের বাড়িতে নারী-শিশুরা রক্ষা পায়নি। ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেন এই হত্যাকাণ্ডের এক অদ্ভূত মিল রয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন-এটাই কি তার অপরাধ ছিল?

তিনি বলেন, যারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, এমন সেনা অফিসারদের হত্যা করেছেন। চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জিয়ার সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একেক রাতে ৮-১০ জন করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। চাটুকার কিছু মানুষ গণতন্ত্রের কথা বলেন। জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য। আর গণতন্ত্র থাকলেই কেবল মৌলিক চাহিদা পূরণ সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগ আছে বলেই দেশ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আর একমাত্র গণতন্ত্রিক সরকার হলেই সেটা সম্ভব।

বিজনেস আওয়ার/৩০ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: