বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মাদক বেঁচা-কেনা নিয়ে সোহেলসহ পাঁচ বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে গলায় রশি পেচিয়ে সোহেলকে হত্যা করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে, নিখোঁজের চার দিন পর সোহেল বেপারী (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের বড় পাটওয়ারী বাড়ির পেছনের জঙ্গলের পাশের একটি ড্রেনের মধ্যে মাটি খুড়ে মহদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, সোহেল বেপারীকে হত্যা করেছে তার পাঁচ বন্ধু মিলে। মূলত মাদক বেঁচা-কেনা নিয়ে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে সোহেলের ঝগড়া হয়। এর জেরে তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে অন্য বন্ধুরা।
নিহত সোহেল বেপারী চাঁদপুর সদর উপজেলার দোকন ঘর এলাকার ফজলু বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের শাহজাহান ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩০), নাজির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (৪২)।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানিয়েছেন, সোহেল বেপারী গত ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন। এর তিন দিন পর ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তার স্ত্রী জোসনা বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সারারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এরপর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোহেলের বন্ধু শাহাদাতকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার বিকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে সোহেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শাহাদাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে সকদিরামপুর ঠাকুর বাড়ী নাছির মাস্টারের বাগানে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদক বেঁচা-কেনা নিয়ে সোহেলসহ পাঁচ বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে গলায় রশি পেচিয়ে সোহেলকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে ওই এলাকার বড় পাটোয়ারী বাড়ির পেছনে জঙ্গলের পাশে নিয়ে গিয়ে সোহেলের মরদেহ পুঁতে ফেলেন তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, জিডি করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার ও দুইজনকে আটক করতে সমর্থ হয় পুলিশ ।
বিজনেস আওয়ার/০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ