ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 48

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে।

এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার দু-তিন বছর আগে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী মকবুল হোসেন।

এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান মকবুল হোসেন।

ওই ঘটনার পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন।

বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

বিজনেস আওয়ার/৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে।

এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার দু-তিন বছর আগে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী মকবুল হোসেন।

এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান মকবুল হোসেন।

ওই ঘটনার পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন।

বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

বিজনেস আওয়ার/৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: