ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সি আর দত্তের মরদেহ ঢাকায়, শেষকৃত্য কাল

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০
  • 61

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর) বীর উত্তমের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়েছে। সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছায় তার মরদেহ। আগামীকাল মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) তার শেষকৃত্য হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিমানবন্দর থেকে সি আর দত্তের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমাগারে রাখা হয়েছে। মরদেহের সঙ্গে তার কানাডা প্রবাসী মেজো মেয়ে চয়নিকা দত্ত ও তার স্বামী রনি প্রান্টিস এসেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় সি আর দত্তের বনানিস্থ ডিওএইচ এর ২ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়ির বাসভবন হয়ে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বর থেকে সকাল ১১টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজারবাগ বরদেশ্বরী শ্মশানে।

সেখানে শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আগে জেনারেল দত্তের মরদেহের প্রতি সামরিক সম্মাননা জ্ঞাপনের জন্য গানস্যালুট প্রদান করা হবে। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং হবিগঞ্জে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

উল্লেখ্য, সি আর দত্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তার মেয়ের বাসায় গত ২০ আগস্ট বাথরুমে পড়ে গেলে তার পা ভেঙে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার শারিরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যূকালে তার বয়ষ হয়েছিল ৯৩ বছর।

১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে জন্ম নেওয়া সি আর দত্তের পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ রাইফেলস)-র প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/৩১ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সি আর দত্তের মরদেহ ঢাকায়, শেষকৃত্য কাল

পোস্ট হয়েছে : ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর) বীর উত্তমের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়েছে। সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছায় তার মরদেহ। আগামীকাল মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) তার শেষকৃত্য হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিমানবন্দর থেকে সি আর দত্তের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমাগারে রাখা হয়েছে। মরদেহের সঙ্গে তার কানাডা প্রবাসী মেজো মেয়ে চয়নিকা দত্ত ও তার স্বামী রনি প্রান্টিস এসেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় সি আর দত্তের বনানিস্থ ডিওএইচ এর ২ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়ির বাসভবন হয়ে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বর থেকে সকাল ১১টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজারবাগ বরদেশ্বরী শ্মশানে।

সেখানে শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আগে জেনারেল দত্তের মরদেহের প্রতি সামরিক সম্মাননা জ্ঞাপনের জন্য গানস্যালুট প্রদান করা হবে। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং হবিগঞ্জে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

উল্লেখ্য, সি আর দত্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তার মেয়ের বাসায় গত ২০ আগস্ট বাথরুমে পড়ে গেলে তার পা ভেঙে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার শারিরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যূকালে তার বয়ষ হয়েছিল ৯৩ বছর।

১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে জন্ম নেওয়া সি আর দত্তের পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ রাইফেলস)-র প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/৩১ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: