ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 41

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিভিন্ন কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে এবং তা কখনো আগের অবস্থায় ফেরে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। আরও বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছরের (২০২২ সালের) জানুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেড়েছে উৎপাদন উপকরণের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ফলে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছিল। গত এক বছরে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। তবে সেখান থেকে কয়েক মাস ধীরে ধীরে কমছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মজুরি হারও বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মজুরির হার বেড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে যা ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি আগের অবস্থায় ফিরে যায় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। গরুর ফিড ও পোলট্রি ফিডের দাম অনেক বেড়েছে। বেড়েছে পরিবহন খরচ। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। এক কেজি ওজনের মুরগির দাম বর্তমানে ২৭০ টাকা। ডিমের দাম বাড়তি। তবে শাকসবজির দাম সহনীয় অবস্থায় রয়েছে।

গত এক মাসে রেমিট্যান্সের ভালো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি জানিয়ে শামসুল আলম বলেন, সবশেষ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স যোগ করলে বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

রিজার্ভ গঠনে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি ভূমিকা রাখে জানিয়ে তিনি বলেন, এক মাসে দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। গত এক মাসে রিজার্ভ ইতিবাচক। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় হয় ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে এক মাস (জানুয়ারি) যোগ করলে তা ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়নে দাঁড়ায়। তার মানে এক মাসে রপ্তানি আয়ে বড় জাম্প করেছে।

আরও বলেন, আমরা ইমপোর্ট (আমদানি) নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছি। কিন্তু আমদানি কমে গেলে সমস্যা আছে। তবে গত মাসে আমদানি বাড়তি হলেও এটা খারাপ না। কারণ অনেক পণ্য তৈরির জন্যও আমদানি করা জরুরি, যেমন আরএমজি (তৈরি পোশাকশিল্প)।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। সংলাপে অংশ নেন ডিজেএফবি সভাপতি হামিদ-উদ-হামান, সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক সাইদ রিপন, দপ্তর সম্পাদক এম আর মাসফি প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিভিন্ন কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে এবং তা কখনো আগের অবস্থায় ফেরে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। আরও বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছরের (২০২২ সালের) জানুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেড়েছে উৎপাদন উপকরণের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ফলে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছিল। গত এক বছরে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। তবে সেখান থেকে কয়েক মাস ধীরে ধীরে কমছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মজুরি হারও বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মজুরির হার বেড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে যা ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি আগের অবস্থায় ফিরে যায় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। গরুর ফিড ও পোলট্রি ফিডের দাম অনেক বেড়েছে। বেড়েছে পরিবহন খরচ। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। এক কেজি ওজনের মুরগির দাম বর্তমানে ২৭০ টাকা। ডিমের দাম বাড়তি। তবে শাকসবজির দাম সহনীয় অবস্থায় রয়েছে।

গত এক মাসে রেমিট্যান্সের ভালো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি জানিয়ে শামসুল আলম বলেন, সবশেষ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স যোগ করলে বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

রিজার্ভ গঠনে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি ভূমিকা রাখে জানিয়ে তিনি বলেন, এক মাসে দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। গত এক মাসে রিজার্ভ ইতিবাচক। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় হয় ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে এক মাস (জানুয়ারি) যোগ করলে তা ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়নে দাঁড়ায়। তার মানে এক মাসে রপ্তানি আয়ে বড় জাম্প করেছে।

আরও বলেন, আমরা ইমপোর্ট (আমদানি) নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছি। কিন্তু আমদানি কমে গেলে সমস্যা আছে। তবে গত মাসে আমদানি বাড়তি হলেও এটা খারাপ না। কারণ অনেক পণ্য তৈরির জন্যও আমদানি করা জরুরি, যেমন আরএমজি (তৈরি পোশাকশিল্প)।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। সংলাপে অংশ নেন ডিজেএফবি সভাপতি হামিদ-উদ-হামান, সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক সাইদ রিপন, দপ্তর সম্পাদক এম আর মাসফি প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: