রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ হোসেনকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন লামিয়া আক্তার (২২) নামের এক তরুণী। বিষয়টি নিয়ে সোহাগের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহাগের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা লামিয়া।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত লামিয়া আক্তারের মা মঞ্জু বেগম জানিয়েছেন, লামিয়া ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ হোসেনের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সে সোহাগের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ হোসেন পলাতক রয়েছেন।
মঞ্জু বেগম আরও বলেন, আমার স্বামী ইরাকে থাকে। আমার দুই মেয়ের মধ্যে লামিয়া বড় ছিল। আমাদের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার চরগাঁও এলাকায়। আমি আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিচ্শিত করে বলেন, মাতুয়াইল এলাকা হতে এক তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, সোহাগ পুলিশের পোশাক পরেই ঢাকা মেডিক্যালে এসেছিলেন। পরে এখান থেকে ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পড়েন। আমরা বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানাকে জানিয়েছি। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ