মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি টাকা বা ৪৪ শতাংশ। গেল সপ্তায় পুঁজিবাজারে মূলধন পরিমাণ কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকা । কমেছে সব ধরনের সূচক। সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে বিক্রেতার চাপে বেশি ছিল।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, সিএসই ১০ অক্টোবর ২৫৩ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে বাজার মূলধন ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৫ কোটি ৯৪ টাকায়। গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার ২০১ কোটি ৯ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সূত্র মতে, গেল সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭ লাখ ৩০ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩০টির, দর কমেছে ১০৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৮টি কোম্পানির।
সপ্তাহে সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪২৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ১৭ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ৩৪ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সিএসইআই সূচক দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৬ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩১৯ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৪৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৪ দশমিক ৮২ পয়েন্টে।
গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৬৪ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সী পার্ল বিচ (এ ক্যাটাগরি) শেয়ারে। একাই ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
এছাড়া শাইনপুকুর সিরামিকস (বি ক্যাটাগরি) ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরশেন (এ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স (এ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স (এ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস (এ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার (এ ক্যাটাগরি) ৮৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা (এ ক্যাটাগরি) ৭৪ লাখ টাকা, আইটিসি (বি ক্যাটাগরি) ৬৬ লাখ টাকা এবং বেঙ্গল ইউন্ডসর (বি ক্যাটাগরি) ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড