বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বরগুনার পাথরঘাটা থেকে প্রায় এক’শ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ‘এফবি ভাই ভাই ট্রলারে’ সশস্ত্র ডাকাত জলদস্যুদের হামলার খবর পাওয়া গেছে । ট্রলারের ১৯জন জেলের ওপরে অতর্কিত গুলি চালিয়ে এবং ধারালো দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৯ জেলেকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে ওই জলদস্যুরা। ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে খোকন হাওলাদার (৪০) নামে এক জেলে আহত হয়েছেন। এসময় প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দেওয়া ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সোনারচর সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রলারের মালিক মনির হোসেন জানান, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ট্রলারটি মহিপুর থেকে ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। রাত ২টার দিকে সোনারচরের কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ট্রলারে উঠে পড়ে। এ সময় ৯ জেলে জীবনরক্ষায় সাগরে ঝাঁপ দেন। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আরেক জেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ট্রলারে থাকা বাকি আট জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডোপে (ট্রলারে মাছ রাখার জায়গা) আটকে রেখে সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওইসময় পেছন দিক থেকে পাথরঘাটার একটি ট্রলার আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ওই ট্রলারের সহযোগিতায় ট্রলারে আহত দুজন এবং ট্রলারে আটকে রাখা জেলেদের উদ্ধার করা হয়।
তবে সাগরে ঝাঁপ দেওয়া জেলেরা এখনো নিখোঁজ। তাদের বাড়ি বরগুনার তালতলী ও নলী এলাকায়। তাদের মধ্যে কাইয়ুম মাঝি, শফিকুল, কালাম ও ফরিদের নাম জানা গেছে। বাকি পাঁচজনের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্যদিকে আহত জেলেদের পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাদের বরিশালের স্থানান্তর করা হয়েছে।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘদিন বঙ্গোপসাগর জলদস্যুমুক্ত ছিল। তবে ফের জলদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের এলাকার মধ্যে না। তারপরও খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিজনেস আওয়ার/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ