ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক ফ্রি ১৪ কোটি শেয়ার : বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্টে রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ ঘোষনা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 52

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পরিশোধিত মূলধনে রবি আজিয়াটা গ্রামীণফোনের থেকে যতটা এগিয়ে, ব্যবসায় ততটাই পিছিয়ে। বিশাল মূলধন নিয়ে ব্যবসা করলেও রবির সর্বশেষ ২০২২ সালে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে মাত্র ৩৫ পয়সা। এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ শেয়ারপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে। অর্থাৎ অর্ধেকই দিতে হবে রিজার্ভ থেকে। যার পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে শেয়ার দর বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। এতে করে লক ফ্রি বা বিক্রিযোগ্য হওয়া প্রায় ১৪ কোটি শেয়ার বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিবে রবির লোকজন।

এই কোম্পানির পর্ষদ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই ১ম বছরেই বা ২০২০ সালের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করে। ওই বছর শেয়ারপ্রতি ৩৩ পয়সা মুনাফা সত্ত্বেও ‘নো’ ডিভিডেন্ড সুপারিশের কারনে ব্যাখ্যা চেয়ে এই তলব করে কমিশন। সেই কোম্পানির পর্ষদ এবার মুনাফার দ্বিগুণ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে।

তবে এই লভ্যাংশের পেছনে রয়েছে শেয়ার বাড়ানোর মতো অসৎ উদ্দেশ্য। কারন এরইমধ্যে কোম্পানির লোকজনের প্রায় ১৪ কোটি শেয়ার লক ফ্রি হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটির শেয়ারে ক্রেতা না থাকায় তা বিক্রি করতে পারছে না।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রবির গত ২৪ ডিসেম্বর ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৪টি শেয়ার লক ফ্রি হয়েছে। যার ৬০টি ছাড়া বাকিটা আইপিওতে কোম্পানির নিজস্ব লোকজনের কাছে ইস্যু করা হয়েছে। যেগুলো ২ বছর লক-ইন ছিল।

কিন্তু শেয়ারটি আরও আগে থেকেই ক্রেতাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যাতে লক ফ্রি হলেও ওই বিশাল শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

এই অবস্থায় কোম্পানির পর্ষদ ১৬ ফেব্রুয়ারি মুনাফার দ্বিগুণ বা ৭% নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে। কিন্তু কোম্পানির এই চেষ্টা বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারটির প্রতি আগ্রহী করতে পারেনি। যাতে করে লভ্যাংশ ঘোষনা পরবর্তীদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩২ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনের প্রায় পুরোটা সময় শেয়ারটিতে ক্রেতা ছিল না।

উল্লেখ্য, ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে জিপির ২০২২ সালে শেয়ারপ্রতি ২২.২৯ টাকা করে নিট ৩ হাজার ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার মুনাফা হয়েছে। বিপরীতে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির শেয়ারপ্রতি ৩৫ পয়সা করে নিট ১৮৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মুনাফা হয়েছে। অর্থাৎ রবি জিপির থেকে ২৮৮% মূলধন বেশি নিয়েও মুনাফা করেছে মাত্র ৬%।

বিজনেস আওয়ার/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

লক ফ্রি ১৪ কোটি শেয়ার : বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্টে রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ ঘোষনা

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পরিশোধিত মূলধনে রবি আজিয়াটা গ্রামীণফোনের থেকে যতটা এগিয়ে, ব্যবসায় ততটাই পিছিয়ে। বিশাল মূলধন নিয়ে ব্যবসা করলেও রবির সর্বশেষ ২০২২ সালে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে মাত্র ৩৫ পয়সা। এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ শেয়ারপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে। অর্থাৎ অর্ধেকই দিতে হবে রিজার্ভ থেকে। যার পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে শেয়ার দর বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। এতে করে লক ফ্রি বা বিক্রিযোগ্য হওয়া প্রায় ১৪ কোটি শেয়ার বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিবে রবির লোকজন।

এই কোম্পানির পর্ষদ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই ১ম বছরেই বা ২০২০ সালের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করে। ওই বছর শেয়ারপ্রতি ৩৩ পয়সা মুনাফা সত্ত্বেও ‘নো’ ডিভিডেন্ড সুপারিশের কারনে ব্যাখ্যা চেয়ে এই তলব করে কমিশন। সেই কোম্পানির পর্ষদ এবার মুনাফার দ্বিগুণ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে।

তবে এই লভ্যাংশের পেছনে রয়েছে শেয়ার বাড়ানোর মতো অসৎ উদ্দেশ্য। কারন এরইমধ্যে কোম্পানির লোকজনের প্রায় ১৪ কোটি শেয়ার লক ফ্রি হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটির শেয়ারে ক্রেতা না থাকায় তা বিক্রি করতে পারছে না।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রবির গত ২৪ ডিসেম্বর ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৪টি শেয়ার লক ফ্রি হয়েছে। যার ৬০টি ছাড়া বাকিটা আইপিওতে কোম্পানির নিজস্ব লোকজনের কাছে ইস্যু করা হয়েছে। যেগুলো ২ বছর লক-ইন ছিল।

কিন্তু শেয়ারটি আরও আগে থেকেই ক্রেতাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যাতে লক ফ্রি হলেও ওই বিশাল শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

এই অবস্থায় কোম্পানির পর্ষদ ১৬ ফেব্রুয়ারি মুনাফার দ্বিগুণ বা ৭% নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে। কিন্তু কোম্পানির এই চেষ্টা বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারটির প্রতি আগ্রহী করতে পারেনি। যাতে করে লভ্যাংশ ঘোষনা পরবর্তীদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩২ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনের প্রায় পুরোটা সময় শেয়ারটিতে ক্রেতা ছিল না।

উল্লেখ্য, ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে জিপির ২০২২ সালে শেয়ারপ্রতি ২২.২৯ টাকা করে নিট ৩ হাজার ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার মুনাফা হয়েছে। বিপরীতে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির শেয়ারপ্রতি ৩৫ পয়সা করে নিট ১৮৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মুনাফা হয়েছে। অর্থাৎ রবি জিপির থেকে ২৮৮% মূলধন বেশি নিয়েও মুনাফা করেছে মাত্র ৬%।

বিজনেস আওয়ার/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: