ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য যমুনা ব্যাংক, ঝুঁকিতে স্ট্যান্ডার্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 31

­­­বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগযোগ্য অবস্থায় রয়েছে যমুনা ব্যাংক। অন্যদিকে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) লোকসানের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বিশ্লেষণ একটি অন্যতম হাতিয়ার। যার মাধ্যমে বিনিয়োগ ফেরত পেতে কত সময় লাগবে, তা ধারনা করা যায়। তবে মুনাফায় অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই হিসাবটি খুব একটা কার্যকর না। এই পদ্ধতিতে বর্তমানে যমুনা ব্যাংকে বিনিয়োগকৃত টাকা সবচেয়ে কম সময়ে ফেরত পাওয়া যাবে। ব্যাংকটি থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে সময় লাগবে ৪.১৮ বছর।

অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পেতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগবে। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসানের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাংকটি থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে ৭০ বছর সময় লাগবে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পিই ১২ পর্যন্তকে উত্তম মনে করা হলেও ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর এর নিচে রয়েছে। এমনকি ১৯টি ব্যাংকের শেয়ার দর একক পিই এর ঘরে রয়েছে।

নিম্নে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ৩১ আগস্টের পিই তুলে ধরা হল-

নাম৩১ আগস্টের পিই
যমুনা ব্যাংক৪.১৮
সাউথইস্ট ব্যাংক৪.২৩
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক৪.৯৪
ওয়ান ব্যাংক৫.১০
এক্সিম ব্যাংক৫.২০
প্রিমিয়ার ব্যাংক৫.৪৫
মার্কেন্টাইল ব্যাংক৫.৬৫
এনসিসি ব্যাংক৫.৬৭
ব্যাংক এশিয়া৬.৩৯
ইসলামী ব্যাংক৬.৪২
ঢাকা ব্যাংক৬.৮২
ট্রাস্ট ব্যাংক৬.৯৩
ডাচ-বাংলা ব্যাংক৭.৪৫
উত্তরা ব্যাংক৭.৫০
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক৭.৭৭
পূবালি ব্যাংক৮.১৬
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক৯.৩৬                            
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক৯.৪১
ইস্টার্ন ব্যাংক৯.৫১
আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক১০
আইএফআইসি ব্যাংক১০
দি সিটি ব্যাংক১০.২৪
ন্যাশনাল ব্যাংক১০.৬৯
স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক১৩.১০
প্রাইম ব্যাংক১৭.৬০
ব্র্যাক ব্যাংক২০.৮৯
এবি ব্যাংক২৪.২১
রূপালি ব্যাংক৪০.২৭
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক৭০
আইসিবি ইসলামীক ব্যাংক­­ফেরত পাওয়া যাবে না

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছে রূপালি ব্যাংক। এ ব্যাংকটি থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে ৪০.২৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে পিই ২৪.২১ নিয়ে তৃতীয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবি ব্যাংক।

এদিকে ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র লোকসানি আইসিবি ইসলামীক ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া যাবে না। ব্যাংকটির লোকসানের কারনে এমনটি হবে।

বিজনেস আওয়ার/০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য যমুনা ব্যাংক, ঝুঁকিতে স্ট্যান্ডার্ড

পোস্ট হয়েছে : ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

­­­বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগযোগ্য অবস্থায় রয়েছে যমুনা ব্যাংক। অন্যদিকে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) লোকসানের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বিশ্লেষণ একটি অন্যতম হাতিয়ার। যার মাধ্যমে বিনিয়োগ ফেরত পেতে কত সময় লাগবে, তা ধারনা করা যায়। তবে মুনাফায় অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের ব্যাংকের ক্ষেত্রে এই হিসাবটি খুব একটা কার্যকর না। এই পদ্ধতিতে বর্তমানে যমুনা ব্যাংকে বিনিয়োগকৃত টাকা সবচেয়ে কম সময়ে ফেরত পাওয়া যাবে। ব্যাংকটি থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে সময় লাগবে ৪.১৮ বছর।

অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পেতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগবে। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসানের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাংকটি থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে ৭০ বছর সময় লাগবে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পিই ১২ পর্যন্তকে উত্তম মনে করা হলেও ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দর এর নিচে রয়েছে। এমনকি ১৯টি ব্যাংকের শেয়ার দর একক পিই এর ঘরে রয়েছে।

নিম্নে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ৩১ আগস্টের পিই তুলে ধরা হল-

নাম৩১ আগস্টের পিই
যমুনা ব্যাংক৪.১৮
সাউথইস্ট ব্যাংক৪.২৩
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক৪.৯৪
ওয়ান ব্যাংক৫.১০
এক্সিম ব্যাংক৫.২০
প্রিমিয়ার ব্যাংক৫.৪৫
মার্কেন্টাইল ব্যাংক৫.৬৫
এনসিসি ব্যাংক৫.৬৭
ব্যাংক এশিয়া৬.৩৯
ইসলামী ব্যাংক৬.৪২
ঢাকা ব্যাংক৬.৮২
ট্রাস্ট ব্যাংক৬.৯৩
ডাচ-বাংলা ব্যাংক৭.৪৫
উত্তরা ব্যাংক৭.৫০
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক৭.৭৭
পূবালি ব্যাংক৮.১৬
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক৯.৩৬                            
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক৯.৪১
ইস্টার্ন ব্যাংক৯.৫১
আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক১০
আইএফআইসি ব্যাংক১০
দি সিটি ব্যাংক১০.২৪
ন্যাশনাল ব্যাংক১০.৬৯
স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক১৩.১০
প্রাইম ব্যাংক১৭.৬০
ব্র্যাক ব্যাংক২০.৮৯
এবি ব্যাংক২৪.২১
রূপালি ব্যাংক৪০.২৭
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক৭০
আইসিবি ইসলামীক ব্যাংক­­ফেরত পাওয়া যাবে না

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছে রূপালি ব্যাংক। এ ব্যাংকটি থেকে বিনিয়োগ ফেরত পেতে ৪০.২৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে পিই ২৪.২১ নিয়ে তৃতীয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবি ব্যাংক।

এদিকে ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র লোকসানি আইসিবি ইসলামীক ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া যাবে না। ব্যাংকটির লোকসানের কারনে এমনটি হবে।

বিজনেস আওয়ার/০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: