ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেনদেন তিনশর নিচে, সূচকেও পতন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 93

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেন পরিমাণ ডিএসইতে কমলে সিএসইতে বেড়েছে। উভয় শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বহুগুন বেড়েছে। ডিএসইর লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন ৬ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে।

রবিবার ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিনে বিক্রেতার চাপ বহুগুন বেশি ছিল। ডিএসইতে ১৪৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ১৮টির বেড়েছে। যা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থান চেয়ে পতন ৮ দশমিক ২২ গুন বেশি। অপরদিকে সিএসইতে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ১২টির বেড়েছে। যা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থান চেয়ে পতন ৫ দশমিক ১৬ গুন বেশি। রবিবার ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরের দিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে।

পরেরদিন লেনদেন আবারো কমে। এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার-ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো। পরে ফের ভাটায় পড়ে লেনদেন। এরই ধারায় রবিবারও ভাটা পড়ে লেনদেন। এর ফলে লেনদেন বর্তমানে তিনশ কোটি টাকার ঘরের নিচে নেমে এসেছে।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, রবিবার ডিএসইতে ২৮৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২১ দশমিক ৫১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬২ দশমিক ১৯ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৮টি এবং কমেছে ১৪৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৩২টির। এদিন ডিএসইতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক, জেনেক্স ইনফোসিস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, এপেক্স ফুটওয়্যার, জেমিনি সী, সী পার্ল বিচ, ওরিয়ন ফার্মা, বিকন ফার্মা এবং মুন্নু এ্যাগ্রোর শেয়ার।

অপরদিকে, সিএসইতে রবিবার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১২টি, কমেছে ৬২টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫২টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৩ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০৯ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, ১১ হাজার ২০ দশমিক শুন্য ৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬১ দশমিক ৪০ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে সী পার্ল বিচের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন সী পার্ল বিচ ১ কোটি ৪৬ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রান, জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিকস, সোনারী পেপার, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, হাক্কানী পাল্প, ওরিয়ন ফার্মা এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার।

বিজনেস আওয়ার/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

লেনদেন তিনশর নিচে, সূচকেও পতন

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেন পরিমাণ ডিএসইতে কমলে সিএসইতে বেড়েছে। উভয় শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বহুগুন বেড়েছে। ডিএসইর লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন ৬ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে।

রবিবার ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিনে বিক্রেতার চাপ বহুগুন বেশি ছিল। ডিএসইতে ১৪৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ১৮টির বেড়েছে। যা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থান চেয়ে পতন ৮ দশমিক ২২ গুন বেশি। অপরদিকে সিএসইতে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ১২টির বেড়েছে। যা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থান চেয়ে পতন ৫ দশমিক ১৬ গুন বেশি। রবিবার ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরের দিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে।

পরেরদিন লেনদেন আবারো কমে। এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার-ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো। পরে ফের ভাটায় পড়ে লেনদেন। এরই ধারায় রবিবারও ভাটা পড়ে লেনদেন। এর ফলে লেনদেন বর্তমানে তিনশ কোটি টাকার ঘরের নিচে নেমে এসেছে।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, রবিবার ডিএসইতে ২৮৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২১ দশমিক ৫১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬২ দশমিক ১৯ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৮টি এবং কমেছে ১৪৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৩২টির। এদিন ডিএসইতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক, জেনেক্স ইনফোসিস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, এপেক্স ফুটওয়্যার, জেমিনি সী, সী পার্ল বিচ, ওরিয়ন ফার্মা, বিকন ফার্মা এবং মুন্নু এ্যাগ্রোর শেয়ার।

অপরদিকে, সিএসইতে রবিবার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১২টি, কমেছে ৬২টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫২টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৩ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০৯ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, ১১ হাজার ২০ দশমিক শুন্য ৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬১ দশমিক ৪০ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে সী পার্ল বিচের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন সী পার্ল বিচ ১ কোটি ৪৬ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রান, জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিকস, সোনারী পেপার, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, হাক্কানী পাল্প, ওরিয়ন ফার্মা এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার।

বিজনেস আওয়ার/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: