ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে শেষ দিন ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলতি রোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। এ কারণে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) আরও ১৫ দিন সময় বৃদ্ধি করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, খাদ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লটারি করতে করতেই প্রায় দেড় মাস সময় পার হওয়া, গুদামে ধান দিতে গিয়ে নানা ঝক্কি ঝামেলায় আগ্রহ হারানো, উৎকোচ দেয়া, করোনা, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করার জন্য গত ২৬ এপ্রিল থেকে বোরো ধান এবং ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে সরকার।

চুক্তি অনুযায়ী ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ লাখ মেট্রিক টন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বোরো ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৩৩৭ মেট্রিক টন। সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন।

আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ৮২ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন। ধান, সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল মিলে কয়েক মাসে মাত্র ৮ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে এখনো ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৮১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল ঘাটতি রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

এ প্রসঙ্গে দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ধানের বাজার অনুযায়ী চালের মূল্য হওয়া উচিত ছিল ৪০ টাকা কেজি। ৩৬ টাকা কেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করায় মিল মালিকরা লোকসানের মধ্যে আছেন। ইতোমধ্যে দিনাজপুরে ৬৫ ভাগ চাল দেয়া হয়েছে।

নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, নওগাঁ জেলা থেকে আমরা মোট চাহিদার প্রায় ৬৫ ভাগ চাল সরবরাহ করেছি। আবহাওয়া, বিদ্যুৎ সুবিধা সব ঠিক থাকলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১৫ ভাগ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারওয়ার মাহমুদ বলেন, এবার টার্গেট অনেক বেশি। তার মধ্যে বৈরী আবহাওয়া ও করোনার মতো দুর্যোগ। এটা নর্মাল বছরের মতো সময় নয়। এ অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছি।

বিজনেস আওয়ার/০২ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার

পোস্ট হয়েছে : ১২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে শেষ দিন ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলতি রোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। এ কারণে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) আরও ১৫ দিন সময় বৃদ্ধি করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, খাদ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লটারি করতে করতেই প্রায় দেড় মাস সময় পার হওয়া, গুদামে ধান দিতে গিয়ে নানা ঝক্কি ঝামেলায় আগ্রহ হারানো, উৎকোচ দেয়া, করোনা, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করার জন্য গত ২৬ এপ্রিল থেকে বোরো ধান এবং ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে সরকার।

চুক্তি অনুযায়ী ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ লাখ মেট্রিক টন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বোরো ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৩৩৭ মেট্রিক টন। সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন।

আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ৮২ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন। ধান, সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল মিলে কয়েক মাসে মাত্র ৮ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে এখনো ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৮১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল ঘাটতি রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

এ প্রসঙ্গে দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ধানের বাজার অনুযায়ী চালের মূল্য হওয়া উচিত ছিল ৪০ টাকা কেজি। ৩৬ টাকা কেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করায় মিল মালিকরা লোকসানের মধ্যে আছেন। ইতোমধ্যে দিনাজপুরে ৬৫ ভাগ চাল দেয়া হয়েছে।

নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, নওগাঁ জেলা থেকে আমরা মোট চাহিদার প্রায় ৬৫ ভাগ চাল সরবরাহ করেছি। আবহাওয়া, বিদ্যুৎ সুবিধা সব ঠিক থাকলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১৫ ভাগ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারওয়ার মাহমুদ বলেন, এবার টার্গেট অনেক বেশি। তার মধ্যে বৈরী আবহাওয়া ও করোনার মতো দুর্যোগ। এটা নর্মাল বছরের মতো সময় নয়। এ অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছি।

বিজনেস আওয়ার/০২ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: