বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে কুমারখালী পৌর মেয়র ও কুমারখালী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সামছুজ্জামান অরুন ও দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি অপরাধমূলক অসদাচরণ করে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করে নিয়োগ দেয়। যার প্রেক্ষিতে দুদক খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অপরাধ সংগঠনের অভিযোহে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল জানান, ডিজির প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে, ব্যাক ডেট দেখিয়ে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ১৮ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। তথ্য পাওয়ার পর খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার কুষ্টিয়া কোর্টে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, ৬ মাস আগে খুলনা থেকে টিম এসে তদন্ত করে গেছে। আর দুদক আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই মামলা করেছে।
বিজনেস আওয়ার/৭ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ