ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোরে ঘুমিয়ে থাকা বান্দারা রিজিক বণ্টন থেকে বঞ্চিত হয়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • 166

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হাদিসে। ভোরে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে বলেছেন আল্লাহ তায়ালা। কারণ দিনের শুরুতে বরকত রেখেছেন আল্লাহ তায়ালা। সুতরাং যে ব্যক্তি বরকতের সময় জাগ্রত থাকবে আল্লাহ তার অলসতা, উদাসীনতা ও আড়ষ্টতা সব দূর করবেন এবং পুরো দিনের সব কাজে বরকত দান করবেন।

হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! দিনের শুরুতে চার রাকাত নামাজ পড়তে অপারগ হয়ো না, আমি তোমার সারা দিনের কাজ সম্পন্ন করে দেব’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ২/৪৯২)।

দিনের শুরুভাগের জন্য রাসুল (সা.) দোয়া করেছেন। হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) এই দোয়া করেছেন-‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুভাগ বরকতময় করুন।’ (তিরমিজি : ১২১২)

আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ভোরে বান্দার রিজিক বণ্টন হয়। যারা ওই সময়টাতে ঘুমিয়ে থাকে, তারা সার্বিক সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয়। রিজিকে বরকতের ছোঁয়া পায় না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কারণ, সকালবেলা বরকতপূর্ণ ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়।’ -(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস : ৬২২০)

পূর্ববর্তী আলেমরা ফজরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করতেন। হজরত উরওয়া ইবনে যুবাইর (রহ.) বলেন, যুবাইর (রা.) তার সন্তানদের ভোরবেলা ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধ করতেন।

হজরত উরওয়া (রহ.) বলেন, ‘আমি যখন কারও সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৫/২২২

সকাল বেলা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রিজিক বন্টন করা হয় তাই এই সময় ঘুমিয়ে থাকলে আল্লাহ তায়ালার বন্টন থেকে বঞ্চিত থেকে যেতে হয়।

এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) তার এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন, ‘ওঠো! তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে?’ -যাদুল মায়াদ: ৪/২৪১

বিজনেস আওয়ার/৯ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভোরে ঘুমিয়ে থাকা বান্দারা রিজিক বণ্টন থেকে বঞ্চিত হয়

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হাদিসে। ভোরে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে বলেছেন আল্লাহ তায়ালা। কারণ দিনের শুরুতে বরকত রেখেছেন আল্লাহ তায়ালা। সুতরাং যে ব্যক্তি বরকতের সময় জাগ্রত থাকবে আল্লাহ তার অলসতা, উদাসীনতা ও আড়ষ্টতা সব দূর করবেন এবং পুরো দিনের সব কাজে বরকত দান করবেন।

হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! দিনের শুরুতে চার রাকাত নামাজ পড়তে অপারগ হয়ো না, আমি তোমার সারা দিনের কাজ সম্পন্ন করে দেব’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ২/৪৯২)।

দিনের শুরুভাগের জন্য রাসুল (সা.) দোয়া করেছেন। হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) এই দোয়া করেছেন-‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুভাগ বরকতময় করুন।’ (তিরমিজি : ১২১২)

আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ভোরে বান্দার রিজিক বণ্টন হয়। যারা ওই সময়টাতে ঘুমিয়ে থাকে, তারা সার্বিক সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয়। রিজিকে বরকতের ছোঁয়া পায় না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কারণ, সকালবেলা বরকতপূর্ণ ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়।’ -(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস : ৬২২০)

পূর্ববর্তী আলেমরা ফজরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করতেন। হজরত উরওয়া ইবনে যুবাইর (রহ.) বলেন, যুবাইর (রা.) তার সন্তানদের ভোরবেলা ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধ করতেন।

হজরত উরওয়া (রহ.) বলেন, ‘আমি যখন কারও সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৫/২২২

সকাল বেলা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রিজিক বন্টন করা হয় তাই এই সময় ঘুমিয়ে থাকলে আল্লাহ তায়ালার বন্টন থেকে বঞ্চিত থেকে যেতে হয়।

এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) তার এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন, ‘ওঠো! তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে?’ -যাদুল মায়াদ: ৪/২৪১

বিজনেস আওয়ার/৯ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: