বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে আমান কটন ফাইব্রাস। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব ৯ মাসের শেয়ারপ্রতি ২.৪৪ টাকার মুনাফা এখন লোকসান। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল ও লভ্যাংশ উভয় ক্ষেত্রেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ৪০ টাকা নির্ধারন হয়। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৩০ টাকা। তবে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ টাকা করে শেয়ার ইস্যু করে। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরের ব্যবসায় শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়। যা কাট-অফ প্রাইস মূল্য বিবেচনায় ২.৫০ শতাংশ।
এদিকে ৪০ টাকা কাট-অফ প্রাইসের আমান কটনের শেয়ার দর এখন ২৬.৫০ টাকা। এতে করে ক্যাপিটাল লোকসানে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা।
এমন উচ্চ মূল্যের কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২২) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.০২) টাকা। অথচ শেয়ারবাজারে আসার আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ২.৪৪ টাকা।
আরও পড়ুন……
আমান কটনের প্রত্যেক পরিচালককে ৩ কোটি ও নিরীক্ষককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
ঋণ পরিশোধে শেয়ারবাজারে এসে সহযোগিতে ৫৩.৫০ কোটি টাকা প্রদান
ব্যবসায় এই পতনের কারন হিসেবে কাচাঁমালের দাম ৩১% বেড়েছে বলে উল্লেখ করেছে আমান কটন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেতন ও মজুরি বৃদ্ধি ২৬% ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ১৭% কারন হিসেবে রয়েছে। অন্যদিকে পণ্যের দাম ৯% কমেছে বলে জানিয়েছে। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/০৯ মার্চ, ২০২৩/আরএ