ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি জনপ্রিয় ব্যাংক

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • 61

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর এবার বন্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের আরও এক জনপ্রিয় ব্যাংক ‘সিগনেচার ব্যাংক’। মার্কিন ব্যাংকিং ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যর্থতার ঘটনা হিসেবে বন্ধ হয়েছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক।

রোববার (১২ মার্চ) বন্ধ হয়ে যায় ব্যাংকটি। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হলো দুটি ব্যাংক, সিলিকনের মতো তারও গচ্ছিত অর্থ ও যাবতীয় নথিপত্র অধিগ্রহণ করেছে সরকার।

বহু মানুষ এই ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ রেখেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংকটির অগ্রগতি থমকে যায়। মার্কিন প্রশাসন অবশ্য গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে। সোমবার থেকেই তারা তাদের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সচল রাখতে দেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।

ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি অর্থের জোগান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন ফেডেরাল রিজার্ভ। আমেরিকান ট্রেজারি, ফেডেরাল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

সিগনেচার ব্যাংকের আগে শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। তার নথিপত্রও অধিগ্রহণ করেছে সরকার। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার পর, একেই খুচরো ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলা হচ্ছে।

প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অল্প সময়ে বিপুল অর্থ সঞ্চয় করেছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। আমেরিকার বন্ডেই এই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভ গত বছর সুদের হার বাড়াতে শুরু করে, যার ফলে বন্ডের দর কমে যায়।

স্টার্টআপগুলোও করোনা মহামারির পর থেকে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা সঞ্চিত অর্থ তুলে নেন। গ্রাহকদের টাকার জোগান দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে হয়। ফলে অচিরেই ব্যাংকের অর্থে টান পড়ে।

কিছু দিন আগেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছিল, তাতে বলা হয়, ব্যাংকটি গত কয়েক দিনে প্রায় ২০০ কোটি ডলার খুইয়েছে। ফলে ব্যাংকের বিপর্যয় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে পড়ে। একই পরিণতি হলো সিগনেচার ব্যাংকেরও।

সূত্র: সিএনএন

বিজনেস আওয়ার/১৩ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বন্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি জনপ্রিয় ব্যাংক

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর এবার বন্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের আরও এক জনপ্রিয় ব্যাংক ‘সিগনেচার ব্যাংক’। মার্কিন ব্যাংকিং ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যর্থতার ঘটনা হিসেবে বন্ধ হয়েছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক।

রোববার (১২ মার্চ) বন্ধ হয়ে যায় ব্যাংকটি। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হলো দুটি ব্যাংক, সিলিকনের মতো তারও গচ্ছিত অর্থ ও যাবতীয় নথিপত্র অধিগ্রহণ করেছে সরকার।

বহু মানুষ এই ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ রেখেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংকটির অগ্রগতি থমকে যায়। মার্কিন প্রশাসন অবশ্য গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে। সোমবার থেকেই তারা তাদের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সচল রাখতে দেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।

ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি অর্থের জোগান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন ফেডেরাল রিজার্ভ। আমেরিকান ট্রেজারি, ফেডেরাল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

সিগনেচার ব্যাংকের আগে শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। তার নথিপত্রও অধিগ্রহণ করেছে সরকার। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার পর, একেই খুচরো ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলা হচ্ছে।

প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অল্প সময়ে বিপুল অর্থ সঞ্চয় করেছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। আমেরিকার বন্ডেই এই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভ গত বছর সুদের হার বাড়াতে শুরু করে, যার ফলে বন্ডের দর কমে যায়।

স্টার্টআপগুলোও করোনা মহামারির পর থেকে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা সঞ্চিত অর্থ তুলে নেন। গ্রাহকদের টাকার জোগান দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে হয়। ফলে অচিরেই ব্যাংকের অর্থে টান পড়ে।

কিছু দিন আগেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছিল, তাতে বলা হয়, ব্যাংকটি গত কয়েক দিনে প্রায় ২০০ কোটি ডলার খুইয়েছে। ফলে ব্যাংকের বিপর্যয় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে পড়ে। একই পরিণতি হলো সিগনেচার ব্যাংকেরও।

সূত্র: সিএনএন

বিজনেস আওয়ার/১৩ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: