ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলা বলে স্টোকস-বাটলারদের ক্ষেপিয়েছিলেন তামিম

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
  • 36

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড, আর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে ড্র। দুই সিরিজেই ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যা একটা সময় মাঠের খেলার বাইরেও পৌঁছায় বিবাদে।

ওয়ানডে সিরিজ দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা চলাকালীন জস বাটলার তেড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডারদের সামনে আর ম্যাচ শেষে বেন স্টোকস তর্কে জড়ান তামিম ইকবালের সঙ্গে। সে ম্যাচের এই ঘটনা তখন অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

বিশেষ করে ইংল্যান্ড প্রথম জেতার পর বাংলাদেশ জিতেছিল দ্বিতীয়টি। ফলে সিরিজেও ছিল টানটান উত্তেজনা। সেদিন স্টোকসের সঙ্গে তামিমের বাদানুবাদের ছবি ভাইরাল হলেও, মূল কারিগর ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো।

তিনি তামিমের হাত মুচড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকেই পরে স্টোকস এসে তর্কাতর্কি শুরু করেন।
তবে ঘটনার সুত্রপাত মাঠ থেকেই। প্রথম ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা ইচ্ছেমত স্লেজিং করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

তা ফিরিয়ে দিতেই দ্বিতীয় ম্যাচে অভিনব এক পরিকল্পনা বের করেন তামিম। ইংলিশ ক্ষ্যাপাতে তিনি বাংলায় কথা বলা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। রোববার রাতে এক ইউটিউব লাইভ আড্ডায় সেই ম্যাচের ঘটনা বর্ণনা করেছেন তামিম।

তিনি বলেন, সবাই আসলে শুনতে চায়, বেন স্টোকসের সঙ্গে আমার আসলে কী হয়েছিল। এখন বলি তখন কী হয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে আমরা হেরে গেছিলাম। তখন তারা আমাদের জুনিয়র ক্রিকেটারদের অনেক কথা শুনিয়েছে।

তাই দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আমি ঠিক করে ফেলেছিলাম, যাই হয়ে যাক, এটা আমি ফিরিয়ে দেবোই। তো আমি তখন করলাম যে, আমাদের সঙ্গে যে ইংলিশ কোচ ছিল, তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করলাম ওরা (ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা) আসলে কী কথা বললে অপছন্দ করে।

জানলাম, যেকোন বিদেশির ক্ষেত্রেই, যদি ওদের সামনে বাংলায় কথা বলেন এবং ৫-৬ মিলেন হাসাহাসি করেন, তাহলে এটা ওদের খুব গায়ে লাগে। ওরা রাগে যায়। ওরা চিন্তা করে, এই ইংরেজিতে কথা বলো না কেন? ওরা তো বুঝতে পারে না আমরা কী বলতেছি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে আমি তাই করছি। পাঁচ-ছয়জনকে আমি বলছি, যাই বলি না কেন, তোরা শুধু হাসবি। তো যে ব্যাটসম্যানই আসে, আমি একটা করে কথা বলি আর আশপাশের পাঁচজন মিলে হাসি। তো এতেই আসলে ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছিল।

আর বেন স্টোকসের সঙ্গে আসলে আমার কিছুই হয়নি। ঝামেলা করেছিল জনি বেয়ারস্টো, ম্যাচ শেষে আমরা যখন হাত মেলাচ্ছিলাম, তখন বেয়ারস্টো আমার হাতটা ধরে মুচড়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। আমি প্রটেস্ট করে বললাম, তুমি এটা কী করতেছ? তখন স্টোকস আসায় কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২৬ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাংলা বলে স্টোকস-বাটলারদের ক্ষেপিয়েছিলেন তামিম

পোস্ট হয়েছে : ০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড, আর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে ড্র। দুই সিরিজেই ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যা একটা সময় মাঠের খেলার বাইরেও পৌঁছায় বিবাদে।

ওয়ানডে সিরিজ দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা চলাকালীন জস বাটলার তেড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডারদের সামনে আর ম্যাচ শেষে বেন স্টোকস তর্কে জড়ান তামিম ইকবালের সঙ্গে। সে ম্যাচের এই ঘটনা তখন অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

বিশেষ করে ইংল্যান্ড প্রথম জেতার পর বাংলাদেশ জিতেছিল দ্বিতীয়টি। ফলে সিরিজেও ছিল টানটান উত্তেজনা। সেদিন স্টোকসের সঙ্গে তামিমের বাদানুবাদের ছবি ভাইরাল হলেও, মূল কারিগর ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো।

তিনি তামিমের হাত মুচড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকেই পরে স্টোকস এসে তর্কাতর্কি শুরু করেন।
তবে ঘটনার সুত্রপাত মাঠ থেকেই। প্রথম ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা ইচ্ছেমত স্লেজিং করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

তা ফিরিয়ে দিতেই দ্বিতীয় ম্যাচে অভিনব এক পরিকল্পনা বের করেন তামিম। ইংলিশ ক্ষ্যাপাতে তিনি বাংলায় কথা বলা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। রোববার রাতে এক ইউটিউব লাইভ আড্ডায় সেই ম্যাচের ঘটনা বর্ণনা করেছেন তামিম।

তিনি বলেন, সবাই আসলে শুনতে চায়, বেন স্টোকসের সঙ্গে আমার আসলে কী হয়েছিল। এখন বলি তখন কী হয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে আমরা হেরে গেছিলাম। তখন তারা আমাদের জুনিয়র ক্রিকেটারদের অনেক কথা শুনিয়েছে।

তাই দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আমি ঠিক করে ফেলেছিলাম, যাই হয়ে যাক, এটা আমি ফিরিয়ে দেবোই। তো আমি তখন করলাম যে, আমাদের সঙ্গে যে ইংলিশ কোচ ছিল, তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করলাম ওরা (ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা) আসলে কী কথা বললে অপছন্দ করে।

জানলাম, যেকোন বিদেশির ক্ষেত্রেই, যদি ওদের সামনে বাংলায় কথা বলেন এবং ৫-৬ মিলেন হাসাহাসি করেন, তাহলে এটা ওদের খুব গায়ে লাগে। ওরা রাগে যায়। ওরা চিন্তা করে, এই ইংরেজিতে কথা বলো না কেন? ওরা তো বুঝতে পারে না আমরা কী বলতেছি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে আমি তাই করছি। পাঁচ-ছয়জনকে আমি বলছি, যাই বলি না কেন, তোরা শুধু হাসবি। তো যে ব্যাটসম্যানই আসে, আমি একটা করে কথা বলি আর আশপাশের পাঁচজন মিলে হাসি। তো এতেই আসলে ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছিল।

আর বেন স্টোকসের সঙ্গে আসলে আমার কিছুই হয়নি। ঝামেলা করেছিল জনি বেয়ারস্টো, ম্যাচ শেষে আমরা যখন হাত মেলাচ্ছিলাম, তখন বেয়ারস্টো আমার হাতটা ধরে মুচড়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। আমি প্রটেস্ট করে বললাম, তুমি এটা কী করতেছ? তখন স্টোকস আসায় কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২৬ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: