ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্রাতিরিক্তি মজুদ পণ্য : নানামূখী সংকট

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পণ্য বেশি বিক্রি করতে না পারলেও দীর্ঘদিন ধরে মজুদ পণ্য বয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে ওই পণ্য নষ্ট হয়ে ক্ষতির ঝুঁকি তৈরী হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত মজুদ পণ্য রাখায় টাকা আটকে গেছে। এতে করে দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট। যা কোম্পানিটিকে বিপদের মূখে ফেলে দিয়েছে।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষকের মন্তব্যে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

জাহিনটেক্স কর্তৃপক্ষের এমন খামখেয়ালির কারনে বড় লোকসান গুণতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের মাত্র ৬ মাসের ব্যবসাতেই কোম্পানিটি ১০ টাকার অভিহিত শেয়ারের বিপরীতে ২.৪৩ টাকা লোকসান করে ফেলেছে। যে কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকেই লোকসান গুণছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে ১৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার মতো বিশাল আকারের মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। যা কোম্পানির বিক্রি বা আয়ের তুলনায় ৪.৬০ গুণ বেশি। এর আগের অর্থবছর শেষে ১৬৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছিল।

এমন মজুদ পণ্যের কোম্পানিতে খুব একটা বিক্রি বাড়েনি। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরে হয়েছিল ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ওই ২ অর্থবছরেই কাঁচামাল ব্যবহারের হার ছিল খুবই কম। এর অর্থ কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে একই মজুদ পণ্য বয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে মজুদ পণ্য পুরাতন হয়ে বাতিল হওয়ার ঝুঁকি তৈরী হয়েছে।

মজুদ পণ্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকির পাশাপাশি অতিরিক্ত রাখার কারনে নগদ অর্থের সংকট তৈরী করবে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। একইসঙ্গে মজুদ পণ্য গুদামজাত করে রাখার জন্য খরচ বাড়বে।

এদিকে মাত্রাতিরিক্ত মজুদ পণ্য রাখার দায়ে জাহিনটেক্স এরইমধ্যে চলতি মূলধনের ঘাটতিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যে কারনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে তারা এবি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জাহিনটেক্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৩.০৬ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৯ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মার্চ, ২০২৩/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মাত্রাতিরিক্তি মজুদ পণ্য : নানামূখী সংকট

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পণ্য বেশি বিক্রি করতে না পারলেও দীর্ঘদিন ধরে মজুদ পণ্য বয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে ওই পণ্য নষ্ট হয়ে ক্ষতির ঝুঁকি তৈরী হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত মজুদ পণ্য রাখায় টাকা আটকে গেছে। এতে করে দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট। যা কোম্পানিটিকে বিপদের মূখে ফেলে দিয়েছে।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষকের মন্তব্যে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

জাহিনটেক্স কর্তৃপক্ষের এমন খামখেয়ালির কারনে বড় লোকসান গুণতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের মাত্র ৬ মাসের ব্যবসাতেই কোম্পানিটি ১০ টাকার অভিহিত শেয়ারের বিপরীতে ২.৪৩ টাকা লোকসান করে ফেলেছে। যে কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকেই লোকসান গুণছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে ১৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার মতো বিশাল আকারের মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। যা কোম্পানির বিক্রি বা আয়ের তুলনায় ৪.৬০ গুণ বেশি। এর আগের অর্থবছর শেষে ১৬৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছিল।

এমন মজুদ পণ্যের কোম্পানিতে খুব একটা বিক্রি বাড়েনি। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরে হয়েছিল ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ওই ২ অর্থবছরেই কাঁচামাল ব্যবহারের হার ছিল খুবই কম। এর অর্থ কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে একই মজুদ পণ্য বয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে মজুদ পণ্য পুরাতন হয়ে বাতিল হওয়ার ঝুঁকি তৈরী হয়েছে।

মজুদ পণ্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকির পাশাপাশি অতিরিক্ত রাখার কারনে নগদ অর্থের সংকট তৈরী করবে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। একইসঙ্গে মজুদ পণ্য গুদামজাত করে রাখার জন্য খরচ বাড়বে।

এদিকে মাত্রাতিরিক্ত মজুদ পণ্য রাখার দায়ে জাহিনটেক্স এরইমধ্যে চলতি মূলধনের ঘাটতিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যে কারনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে তারা এবি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জাহিনটেক্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৩.০৬ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৯ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মার্চ, ২০২৩/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: