বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের দুই তারকা জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার। তাদের বর্তমান সর্ম্পক কেমন তা হয়তো দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তের সবারই জানা। একবাক্যে সবাই হয়তো বলবেন- দা-কুমড়া সর্ম্পক।
এত কিছুর পরেও তারা পরস্পর বন্ধু। ফেসবুকে বন্ধুর তালিকা থেকে একে অপরকে মুছে ফেলেননি তারা।
চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণের সর্ম্পক মধুর ছিল। দুজন জুটি বেঁধে কাজও করেছেন। নিপুণের সঙ্গে জায়েদ খানের মধুর সম্পর্কের প্রমাণ মেলে ২০১৭ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর। সে বছর মিশা সওদাগর সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অন্যদিকে চিত্রনায়িকা মৌসুমী কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর মৌসুমী শপথ বাক্য পাঠ করেননি। কিছুদিন পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সদস্যপদ থেকে মৌসুমী পদত্যাগ করেন। সেই শূন্য পদে চিত্রনায়িকা নিপুণকে নেন জায়েদ খান। নিপুণকে নিয়ে দুই বছর সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে মিশা-জায়েদের কমিটি। এ ঘটনা থেকে দুজনের পারস্পরিক হৃদ্যতার ধারণা পাওয়া যায়।
কিন্তু হঠাৎ করেই দুজনের মধুর সম্পর্কে নেমে আসে তিক্ততা। গত বছর করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে নিপুণ নিজ উদ্যোগে সাইমন সাদিককে নিয়ে চলচ্চিত্রের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। জায়েদ খানও এ সময় সংগঠনের সদস্যদের প্রতি সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন। ধারণা করা হয়, নিপুণ সে সময় থেকেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পারেন জায়েদ খানও। এ থেকেই দুজনের সম্পর্কে ফাটলের সূত্রপাত।
সর্বশেষ নির্বাচনে নিপুণ প্রথমে শাকিব খানকে নিয়ে প্যানেল করতে চেয়েছিলেন। শাকিব সাড়া দেননি। পরে তিনি নন্দিত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে বেছে নেন। অন্যদিকে জায়েদ খান-মিশা সওদাগর প্যানেল অটুট থাকে। এই নির্বাচনে নিপুণ-জায়েদ খানের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। শেষ পর্যন্ত ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
স্বাভাবিক কারণে বোঝাই যাচ্ছে নিপুণ-জায়েদ সম্পর্ক সাপে-নেউলে পরিণত হয়েছে। এখনও চলছে তাদের বাকযুদ্ধ। এত কিছুর পরও সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দুজন দুজনের ফ্রেন্ডলিস্টে রয়েছেন। বিষয়টিকে চলচ্চিত্রসংশ্লীষ্টরা ইতিবাচকভাবেই দেখছেন।
বিজনেস আওয়ার/১৫ মার্চ, ২০২৩/এস এম