বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের ঘোষণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে সিকিউরিটিজ নিয়ে বিভিন্ন সময় অপপ্রচার করা বিনিয়োগকারী নামের হকারেরা। এরইমধ্যে তারা ফেসবুকে গ্রুপের নাম ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের নাম পরিবর্তন এবং লাইভ না করার কথা জানান দিয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিএসইসির এক নির্দেশনায় শেয়ারবাজারের কোন সিকিউরিটিজের ভবিষ্যতে দর বাড়বে বা কমবে ইত্যাদি বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য ছড়ানো ব্যক্তি বা দলকে এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়। একইসঙ্গে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর নাম ও লোগো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। অন্যথায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় কমিশন।
বিএসইসির এই নির্দেশনার পরে ফেসবুকে ‘ডিএসই রক স্টার ক্লাব’ নামের পেজকে ‘রক স্টার ক্লাব’ এ পরিবর্তন করেছে ওই পেজের এডমিন। এছাড়া ‘ডিএসই প্রফিট ক্লাব’ থেকে ‘শেয়ার মার্কেট প্রফিট ক্লাব’, ‘ডিএসই পাবলিক ক্লাব’ থেকে ‘টেকনিক্যাল এনালাইসিস পাবলিক ক্লাব’ নাম করা হয়েছে। একইভাবে কয়েকটি ম্যাসেঞ্জার গ্রপের নাম পরিবর্তন করে নিয়েছে কেউ কেউ। এছাড়া ফেসবুক লাইভে ভবিষ্যতে শেয়ার দর বাড়বে এমন প্রচারকারী হকারেরাও তা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
বিএসইসির ওই নির্দেশনার পরে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের একনিষ্ট কিছু অনুসারি এই অবৈধ কাজ বন্ধে বিএসইসির উদ্যোগ নেওয়ায় দুঃখও পেয়েছে। বিনিয়োগকারী নামের হকারেরা নিজেরা আগে শেয়ার কিনে অন্যদেরকে ফেসবুক লাইভেসহ বিভিন্ন পেজে সেই শেয়ার দর বাড়বে বলে আকৃষ্ট করত। তারা মূলত দূর্বল কোম্পানি নিয়ে প্রচার করত। এতে হকারদের ফাঁদে পা দেয়া বিনিয়োগকারীদের কিছু সময় মুনাফা করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ সময় লোকসান গুণতে হতো।
বিজনেস আওয়ার/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০/আরএ