বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন পরিপালন করছে না। যে কোম্পানিটি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ জটিলতায় পড়েছে। যা শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক। এজন্য পৃথক ব্যাংক হিসাব রাখা দরকার। কিন্তু জাহিনটেক্স কর্তৃপক্ষ তা করে না। এছাড়া তারা শ্রম আইন অনুযায়ি এমপ্লয়ীজ বেনিফিট স্কীম, এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ফান্ড ও ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠন করে না।
এর মাধ্যমে জাহিনটেক্স কর্তৃপক্ষ কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।
এদিকে এবি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ নিয়ে জটিলতায় ভুগছে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বিষয়টি এখন বিচারাধীন। এজন্য সুদ বকেয়া হয়ে গেছে।
ওই ঋণ জটিলতার পেছনে রয়েছে কোম্পানিটির মাত্রাতিরিক্ত মজুদ পণ্য। এতে করে টাকা আটকে রয়েছে। যে কারনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে।
আরও পড়ুন……..
মাত্রাতিরিক্তি মজুদ পণ্য : নানামূখী সংকট
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫৯টি বোনাস ঘোষণা করেছিল। কিন্তু অ্যালটমেন্ট রিটার্ন আরজেএসসিতে জমা দেয়নি। যা এখন আদালতে বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জাহিনটেক্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৩.০৬ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৯ টাকায়।
বিজনেস আওয়ার/১৬ মার্চ, ২০২৩/আরএ