1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
পতনেও দশটির দখলে ৩৮ ভাগ লেনদেন
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ন

পতনেও দশটির দখলে ৩৮ ভাগ লেনদেন

  • পোস্ট হয়েছে : শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩
print sharing button

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। গেল সপ্তায় লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ টাকা। যা মোট লেনদেনের ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানি একাই লেনদেন হয়েছে ৯৭৫ কোটি ১ টাকা। শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ কমেছে ৩ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা। সব ধরনের সূচক পতন হয়েছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন ৯ দশমিক ৪০ বেশি।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে তিন হাজার ৬৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

সূত্র মতে, গেল সপ্তায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৮৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫০৮ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫টির, দর কমেছে ১৪১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২২টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ২২টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৩৯ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২২০ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২১৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির শতভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া জেনেক্স ইনফোসিস ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, , সী পার্ল বিচ ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ, অণিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্ক ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, বিডি কম ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিং ২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ২ দশমিক ৫৭ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের এ ক্যাটাগরির শেয়ার বি ও জেড ক্যাটাগরির থেকে তুলনামূলক ভালো কোম্পানি। নিয়ম অনুসারে, যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে তার ঊর্ধ্বে লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই এ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নিচে থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারা বি-ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নিচে থেকে শুরু জিরো লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ার। এছাড়া এন ক্যাটাগরি নতুন কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে কিন্তু বছর পার হয়নি, সেইগুলো এন ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৭ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ