ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ কোরিয়ান তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • 0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় মাদক মেশানো পানি খাইয়ে ১২ তরুণী ও নারীকে ধর্ষণের ও তার ভিডিও ধারণের অভিযোগে বালেশ ধনখড় নামে এক ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিচার চলছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের জেলা কোর্টে বিচারের সময় সেই ভিডিও চালানো হয়। ভিডিওগুলো এতটাই ন্যক্কারজনক যে, আইনজীবীরা বিচারকের কাছে শুনানি শেষ করার আর্জি জানান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

অভিযুক্তের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একগুচ্ছ ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যাদের ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ, তাদের নাম, পরিচয় একটি খাতায় লিখে রাখতেন। অভিযোগ, ঐ তরুণীদের মাদক খাইয়ে নির্যাতন করতেন তিনি।

অভিযুক্ত বালেশ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ১৩টি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। সম্মতি ছাড়াই যৌন সম্পর্কের ভিডিও রেকর্ড করার মামলা রয়েছে ১৭টি। অভিযোগ, নিজের বাড়িতে এবং সিডনির একটি হোটেলে তরুণীদের ডেকে ধর্ষণ করতেন তিনি। নিউ সাউথ ওয়েলসের জেলা কোর্টে বিচার চলছে তার।

একটি সংবাদপত্র দাবি করেছে, কোরিয়ান তরুণীদের নিশানা করতেন বালেশ। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ডাকতেন। তার পর ধর্ষণ করতেন। সেই ধর্ষণের ভিডিও করতেন তিনি।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাগুলো হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, ইংরেজি জানা কোরিয়ান তরুণীদের নিয়োগ করার বিজ্ঞাপন দিতেন বালেশ। তার সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরা যোগাযোগ করলে এক বিলাসবহুল হোটেলে ডেকে পাঠাতেন। সেই হোটেল ছিল তার বাড়ির খুব কাছে। সেখানে তাদের পানীয়ের প্রস্তাব দিতেন। সেই পানীয়তে মেশানো থাকত মাদক।

আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই পানীয় খাওয়ার পর জ্ঞান হারাতেন তরুণীরা। জ্ঞান যখন ফিরত, তারা দেখতেন বালেশের বিছানায় রয়েছেন। এর পর কিছুই মনে থাকত না নির্যাতিতার। অনেক সময় তারা যে ধর্ষিত হয়েছেন, তা-ও মনে করতে পারতেন না।

পুলিশ কর্মকর্তা ক্যাটরিনা গাইড জানিয়েছেন, সব ভিডিও কোরিয়ান তরুণীদের নির্যাতনের। নির্যাতিতাদের নামে ফোল্ডার তৈরি করেছিলেন বালেশ। তাতেই রাখা থাকত ধর্ষণের ভিডিও।

বালেশের ঘরে রাখা থাকত একটি অ্যালার্ম ঘড়ি। তার মধ্যেই রাখা থাকত গোপন ক্যামেরা। নির্যাতিতারা জানতেই পারতেন না, ঘরে ক্যামেরা রয়েছে।

পরে এক নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বালেশের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। তখনই এসব ভিডিও উদ্ধার করা হয়। বালেশের ফ্রিজে রাখা বোতলের মদ এবং পানীয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিলেন। তাতে দু’ রকমের মাদক মিলেছিল।

বিজনেস আওয়ার/১৮ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

১২ কোরিয়ান তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় মাদক মেশানো পানি খাইয়ে ১২ তরুণী ও নারীকে ধর্ষণের ও তার ভিডিও ধারণের অভিযোগে বালেশ ধনখড় নামে এক ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিচার চলছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের জেলা কোর্টে বিচারের সময় সেই ভিডিও চালানো হয়। ভিডিওগুলো এতটাই ন্যক্কারজনক যে, আইনজীবীরা বিচারকের কাছে শুনানি শেষ করার আর্জি জানান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

অভিযুক্তের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একগুচ্ছ ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যাদের ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ, তাদের নাম, পরিচয় একটি খাতায় লিখে রাখতেন। অভিযোগ, ঐ তরুণীদের মাদক খাইয়ে নির্যাতন করতেন তিনি।

অভিযুক্ত বালেশ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ১৩টি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। সম্মতি ছাড়াই যৌন সম্পর্কের ভিডিও রেকর্ড করার মামলা রয়েছে ১৭টি। অভিযোগ, নিজের বাড়িতে এবং সিডনির একটি হোটেলে তরুণীদের ডেকে ধর্ষণ করতেন তিনি। নিউ সাউথ ওয়েলসের জেলা কোর্টে বিচার চলছে তার।

একটি সংবাদপত্র দাবি করেছে, কোরিয়ান তরুণীদের নিশানা করতেন বালেশ। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ডাকতেন। তার পর ধর্ষণ করতেন। সেই ধর্ষণের ভিডিও করতেন তিনি।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাগুলো হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, ইংরেজি জানা কোরিয়ান তরুণীদের নিয়োগ করার বিজ্ঞাপন দিতেন বালেশ। তার সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরা যোগাযোগ করলে এক বিলাসবহুল হোটেলে ডেকে পাঠাতেন। সেই হোটেল ছিল তার বাড়ির খুব কাছে। সেখানে তাদের পানীয়ের প্রস্তাব দিতেন। সেই পানীয়তে মেশানো থাকত মাদক।

আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই পানীয় খাওয়ার পর জ্ঞান হারাতেন তরুণীরা। জ্ঞান যখন ফিরত, তারা দেখতেন বালেশের বিছানায় রয়েছেন। এর পর কিছুই মনে থাকত না নির্যাতিতার। অনেক সময় তারা যে ধর্ষিত হয়েছেন, তা-ও মনে করতে পারতেন না।

পুলিশ কর্মকর্তা ক্যাটরিনা গাইড জানিয়েছেন, সব ভিডিও কোরিয়ান তরুণীদের নির্যাতনের। নির্যাতিতাদের নামে ফোল্ডার তৈরি করেছিলেন বালেশ। তাতেই রাখা থাকত ধর্ষণের ভিডিও।

বালেশের ঘরে রাখা থাকত একটি অ্যালার্ম ঘড়ি। তার মধ্যেই রাখা থাকত গোপন ক্যামেরা। নির্যাতিতারা জানতেই পারতেন না, ঘরে ক্যামেরা রয়েছে।

পরে এক নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বালেশের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। তখনই এসব ভিডিও উদ্ধার করা হয়। বালেশের ফ্রিজে রাখা বোতলের মদ এবং পানীয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিলেন। তাতে দু’ রকমের মাদক মিলেছিল।

বিজনেস আওয়ার/১৮ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: